চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাওন কাবী রিজার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের জোড়কর এলাকায় চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এসটিভি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের ভিডিও সাংবাদিক নুরে আলমের প্রাইভেটকারকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান চাপ দেয়। এতে পেছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়।
পরবর্তীতে মোটরসাইকেল চালক ও প্রাইভেটকার চালক গৃদকালিন্দিয়া স্কয়ার হাসপাতালের সামনে গিয়ে কাভার্ডভ্যান চালকের গতিরোধ করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ৫-৬ জন ব্যক্তি তাদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম ঘটনাস্থলে এসআই খোকন চন্দ্র দাশকে পাঠান। তদন্তের সময় ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি শাওন কাবী রিজা পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনার পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাওন কাবী রিজাকে ছাত্রদলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম জানান, "অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং সাংবাদিক নুরে আলমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাওন কাবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।"
ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে। রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে এ নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তবে শাওন কাবী রিজার পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইএইচ