মধুপুরে ফুলবানু হত্যাকাণ্ডের ৫ মাস পর রহস্য উদঘাটন

আ. হামিদ, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
মধুপুরে ফুলবানু হত্যাকাণ্ডের ৫ মাস পর রহস্য উদঘাটন

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ষাটোর্ধ্ব নারী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।

নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

বুধবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মধুপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আরিফুল ইসলাম।

ঘটনার বিবরণে জানানো হয়, গত বছরের ২৭ অক্টোবর উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের শালিকা গ্রামে ফুলবানু বেগম (৬০) নামের এই বৃদ্ধ মহিলা আনারস বাগানে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে আসামিরা ধারালো কাচি দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর তার কানের দুল ও নাকফুল নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় পরদিন ২৮ অক্টোবর তার বড় ছেলে মো. বাহার আলী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এএসপি মো. আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পাঁচ মাসের অধিক নিবিড় অনুসন্ধান শেষে হত্যাকাণ্ডটির মূল রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।

আটককৃত চার আসামি হলেন— উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের শালিকা পূর্বপাড়া মৃত সামছুল হকের ছেলে মো. আসাদ মিয়া (২৮), একই এলাকার মৃত নয়ন মিয়ার ছেলে ফারুক হোসেন ফালু (৪৫), শালিকা দক্ষিণ পাড়ার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মো. রমজান আলী ভোলা (৫৭) এবং মহিষমারা বেচুরাঘুনি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সুজন মিয়া (২৭)।

সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য ও আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, নিহত ফুলবানুর (৬০) প্রবাসী ছোট ছেলের বউকে আসাসি ফারুক হোসেন (ফালু) প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করতেন।

নিহত ফুলবানু বিষয়টি জানতে পেরে ফালুকে সতর্ক করাসহ স্থানীয় প্রতিবেশীদের জানিয়ে দেন। ফলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় ফুলবানুকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকে।

গত ২৭ অক্টোবর দুপুর ২টার সময় গরুর ঘাস কাটার জন্য নির্জন আনারস বাগানে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে একা পেয়ে আসামিরা ঘিরে ফেলে এবং ঘাস কাটার কাস্তে দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর ফুলবানুর শ্বাসরোধ করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। সেই সময় নিহতের কানে থাকা স্বর্ণের দুল ও নাকফুল নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

ইএইচ