টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, বিবাহিত, অছাত্র ও ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্ত করে কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভা, মনোহরগঞ্জ ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই অভিযোগ করেন এবং কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তা বাতিলের দাবি জানান।
পাশাপাশি, ত্যাগী নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন কমিটি গঠনের আহ্বান জানান বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন- নওয়াব ফয়জুন্নেছা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন, লাকসাম উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন, লাকসাম উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ বিন রাহুল প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের অধীনস্থ এসব ইউনিটের নতুন কমিটি ঘোষণার বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের মতামত নেওয়া হয়নি। ঘোষিত কমিটিগুলোতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত যুগ্ম আহ্বায়ক রাখা হয়েছে, যার মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, মাংস বিক্রেতা, অটোরিকশা চালক ও প্রবাসীরাও রয়েছেন।
তারা আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম ব্যক্তিগত পছন্দের কিছু লোককে স্থান দিতে কেন্দ্র থেকে কমিটি অনুমোদন করিয়েছেন। লাকসাম পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত রিয়াদ আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমন আরও অনেকেই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
পদবঞ্চিত নেতারা অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ কিছু ব্যক্তি ছাত্রদলের কর্মী পরিচয়ে কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন, অথচ তারা অতীতে বিএনপির বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়।
এছাড়া, নতুন কমিটির বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী ওমর ফারুক জিসানকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন লাকসাম পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম, নওয়াব ফয়জুন্নেছা কলেজ ছাত্রদলের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, লাকসাম উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য আলমগীর হোসেনসহ রাহফুদুল ইসলাম, সুমাইয়া, ইমু, ইমান, নাজিম, নাহিয়ান, তানভির, সাকিবসহ আরও অনেকে।
ইএইচ