নওগাঁর পত্নীতলায় বিজিবির অফিসার পরিচয়ে ১৮ বছর বয়সী এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করার চেষ্টা চালিয়ে প্রতারক কাদের গোলাম ওরফে আব্দুল কাদের (৩৭) গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। পরে তাকে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা যায়, ১৪ মার্চ দুপুরে প্রতারক কাদের গোলাম পত্নীতলা উপজেলার নজিপুরে স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজের হাতে আটক হন।
প্রতারক কাদের গোলামের বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত হাতেম আলী।
সচেতন নাগরিক সমাজ জানায়, ১৫ মার্চ বিকেলে কাদের গোলাম পত্নীতলায় বিয়ে করতে আসেন।
মেয়ের পরিবারকে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার পরিবার বিয়েতে রাজি না থাকায় আমি একাই এসেছি।” কিন্তু, ভুয়া পরিচয়ে ধরা পড়ে তিনি স্থানীয় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে গরীব পরিবারগুলিকে টার্গেট করে ভূয়া বিজিবি অফিসার সেজে বিভিন্ন সময়ে প্রতারণা করছিলেন তিনি।
কাদের গোলামের মোবাইলের ফেসবুক মেসেঞ্জার ও ইমু আইডি থেকে বেশ কয়েকটি মেয়েকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং জানান যে, সরকারি চাকরি করেন বলে তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। যদিও তিনি তাদের প্রতিটি মেয়ে খুব ভালোবাসেন বলে দাবি করতেন মেসেঞ্জারে।
ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর মা জানান, "ওই প্রতারক আমার একমাত্র মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে আমাদের থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু, পরবর্তীতে আমার মেয়ের সন্দেহ হলে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, হবু জামাই সরকারি চাকরি করেন না।"
পত্নীতলা থানার ওসি শাহ মো. এনায়েতুর রহমান এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "বিজিবি অফিসার পরিচয়ে কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাসে গোলাম কাদেরের বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।"
ওসি আরও বলেন, "আজ (শনিবার, ১৫ মার্চ) দুপুরে আসামিকে নওগাঁ জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।"
ইএইচ