সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তে আবারও ভারতীয় নির্মাণ শ্রমিকদের নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া ও লোহার খুঁটি স্থাপনের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজিবি বাধা প্রদান করলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে লোহার খুঁটি ও কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে নেন বিএসএফের সদস্যরা।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান পিলার ডিএএমপি ৮ নম্বরের ৪৩ নম্বর সাবপিলারের দহগ্রাম মাস্টারপাড়া সীমান্ত ও ভারতের খিতিরবাড়ী সীমান্তের ভারতীয় পশ্চিমবঙ্গের বিএসএফের ৬ ব্যাটালিয়নের অরুণ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখায় প্রায় ১ শ গজ এলাকায় আবারও এ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে থাকে।
শূন্যরেখার মাত্র ৩ থেকে ৪ গজ স্থান ছেড়ে লোহার খুঁটিতে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা বিজিবি ক্যাম্পের টহল দলের ৪ জন বিজিবি সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া নির্মাণে বাঁধা প্রদান করে।
এ সময় বিএসএফের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য বিজিবির সদস্যদের সাথে তর্কে জড়ায়। বিএসএফ ও নির্মাণ শ্রমিকেরা জোড় করে বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এ সময় বিজিবির সদস্যরা লোহার অ্যাঙ্গেলের খুঁটি ও কাঁটাতার উপড়ে দেয়। এতে কিছু সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা কাজ বন্ধ করে এবং অ্যাঙ্গেলের খুঁটি ও কাঁটাতার নিয়ে চলে যায়। বিজিবি এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান জানান।
দহগ্রাম মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন (৫৫) বলেন, ‘আমাদের এলাকা সীমান্তে বিএসএফ জোর করে কাঁটাতারের বেড়া দিতে থাকে। এ সময় বিজিবি এসে বাঁধা প্রদান করলেও কয়েকটা খুঁটি বসায়। বিজিবি বাঁধায় পরবর্তীতে লোহার খুঁটি ও বেড়া সরিয়ে নেয় বিএসএফ।’
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সেলিম আলদীন বলেন, ‘সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সিনিয়র ঊর্ধ্বতন বিএসএফের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে লিখিত সিদ্ধান্ত হয়েছে দেড় শ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করবে না তাঁরা (বিএসএফ)। কিন্তু বৈঠকের প্রতিশ্রুতি না মেনে আবারও নির্মাণের চেষ্টা করায় বিজিবি বাঁধা দিয়েছে। বাঁধা না মেনে নির্মাণের চেষ্টা করায় বিজিবি খুঁটি তুলে দিয়েছে। ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে প্রতিবাদ পত্র দেওয়া হবে। এ ঘটনায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়েছে।’
আরএস