স্বৈরাচার সরকারের আমলে অনিয়ম দুর্নীতি লুটপাট ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়মিত রুটিন।দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল গড়ে তোলে ছিল একটি নিজস্ব দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট।তার পছন্দের বিভিন্ন জনকে নিয়ে আসেন চট্টগ্রাম বন্দরে।যাদের ফিরিস্তি পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে দৈনিক আমার সাংবাদিক।দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের প্রধান সেনাপতি যান্ত্রিক বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম।গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর তিনি অবসরে যান।
এই কর্মকর্তা অনিয়ম দুর্নীতি করে গড়েছেন টাকার পাহাড়। তার দুর্নীতির ও টাকার পাহাড়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদকে)অভিযোগ দায়ের করেন।দুদকের অভিযোগপত্র অনুসারে যন্ত্রপাতি ক্রয় ও বিক্রয় এবং যন্ত্র সংরক্ষণের কাজে ১৫% কমিশন বাণিজ্যসহ প্রয়োজন বিহীন যন্ত্র ক্রয় করে নিজ ও পরিবারে অন্যান্য সদস্যের নামে কোটি কোটি টাকা সম্পদসহ বিদেশে মানিলন্ডারিং এর মাধ্যমে ১০হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে।
অভিযোগ সূত্রে বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যান্ত্রিক বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অনেক আগে থেকে থাকলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের লোক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এতোদিন কোন অভিযোগ গ্রহণ করেননি। বর্তমানে তার অনিয়ম ওদুর্নীতির বিষয় নানাভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রামে যোগদানের পর থেকে অদ্যাবধি আনুমানিক ৫০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে আয় করেছেন। যার বেশিরভাগ অবৈধ আয় বিদেশে পাচার করেছেন।তিনি মূলত ফ্যাসিস্ট সরকারের বেসামরিক উপদেষ্টা বন্দরের দরবেশ হিসাবে পরিচিত সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ লোক হওয়ায় সালমান এফরহমানের সাথে যোগসাজেশ করে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি ক্রয় করে গডফাদার সালমান এফ রহমান ওরফে দরবেশকে খুশি রাখতেন।চট্টগ্রাম বন্দরে যন্ত্রপাতি কেনায় অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আমিনুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন।কিন্তু দরবেশ বাবার দোয়ায় পুনরায় চাকুরিতে ফিরে আসে।২১ সালের ২৯ এপ্রিল তারিখে অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় দুদক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ বুধবার ৮ ডিসেম্বর তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ জারি করে।
তবে বিষয়টি দু-দিন পর জানাজানি হয়। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বিধিভঙ্গ করে পাঁচটি অটো ভোল্টেজ রেগুলেটর ক্রয় করার ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের আলোকে আমিনুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয় চিঠিতে। এই চিঠির পরই আমিনুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জনতা এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে যোগসাজশে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এতে ক্রয় সংক্রান্ত সরকারি বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। এই বিধি ব্যত্যয়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা দায়ের হয়। সেটি তদন্তও হয়েছে। এতে উন্মুক্ত দরপত্রের পরিবর্তে সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে ক্রয়কার্য সম্পন্ন করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে বলে দুদকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমিনুল ইসলাম এর কাছে অভিযোগ বিবরণী পাঠানো হয়। আমিনুল ইসলাম লিখিত জবাব দাখিল করেন।তাদের জবাব সন্তোষজনক মনে হয়নি বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। অপরাধ গুরুতর বিবেচনায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে আদেশে উল্লেখ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তাছাড়াও সালমান এফ রহমানের আস্থাভাজন এই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মোঃআমিনুল ইসলাম যেন আরেক সালমান এফ রহমান। টাকায় যেন তার নেশা। দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতাই যেনতার মূল কাজ। আর এসব করেই তিনি হয়েছেন বিশাল বিত্ত বৈভবের মালিক। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের চাকরিটা তার কাছে যেন টাকার মেশিন। প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট। তার বাবা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। প্রকৌশলী আমিনুল ও তার পরিবারের সকলেই আওয়ামী লীগের সমর্থক। দুর্নীতির টাকায় গ্রামের বাড়িতে গড়েছেন অঢেল সম্পদের পাহাড়। ছেলেদের লেখাপড়া করান বিদেশে।যান্ত্রিক বিভাগের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বন্দরের যান্ত্রিক বিভাগের প্রধান হওয়ায় ক্রয় নীতিমালা অনুসরণ না করে নিজের ক্ষমতাবলে অনৈতিক সুবিধা ও কিছু দুষ্টু ঠিকাদারদের টেন্ডার দিয়ে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করতেছেন।
প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম তার পছন্দের ঠিকাদারের বাহিরে কোন কাজ ত দূরের কথা যদি অন্য শাখায় তার পছন্দের ঠিকাদারের বাহিরে কাজ টেন্ডার হয় দরবেশ বাবার মাধ্যমে উক্ত টেন্ডার বাতিল অথবা ঠিকাদারকে হয়রানি করে টেন্ডার কাজ স্থগিত করে দেন। তাছাড়া তিনি তার পছন্দের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স জনতা এন্টারপ্রাইজসহ অন্যান্যদের কাজ দিয়ে ১৫% কমিশন নিয়ে কোটিকোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিচ্ছেন। যান্ত্রিক বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এর পছন্দের ঠিকাদারের মধ্যে যথাক্রমে সাইফ পাওয়ার টেক লি., মেসার্স বরতাকিয়া মোটরস, এসেন্টটিয়াল টেক লি., এম এম টেডসিন্ডিকেট, মেসার্স মদিনা ট্রেডিং, মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স নূর ট্রেডিং মেসার্স নূর ইঞ্জিনিয়ারিং মেসার্সনিউওয়ে এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স শেত্ত্বা ট্রেডিং কর্পোরেশনসহ প্রায় সকল বড় বড় সাপ্লায়ারসহ মাহাদীন কন্ট্রাকশন (মেরিন/যান্ত্রিক) চিটাগাং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস (মেরিন/ডিসি/যান্ত্রিক),এস কর্পোরেশন (মেরিন/যান্ত্রিক) দেওয়ানহাট ইঞ্জিনিয়ারিং (যান্ত্রিক),এশিয়ান শিপিং সার্ভিস(মেরিন/যান্ত্রিক),এ আহমদ ইঞ্জিনিয়ারিং (যান্ত্রিক),এইচ এন এন্টারপ্রাইজ (মেরিন/যান্ত্রিক) জে জেএন্টারপ্রাইজ (মেরিন/যান্ত্রিক)। উক্ত ঠিকাদার সমূহ যদি টেন্ডার পাই তাহলে যান্ত্রিক বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এর জন্য ভাল। কারণ তিনি উক্ত ঠিকাদার থেকে ১৫% কমিশন সহজে নিতে পারে। তাই বাবা দরবেশকে তদবির করে এই ঠিকাদার সমূহ কে টেন্ডার নিতে সহযোগিতা করেন।
তাছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যান্ত্রিক বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বরখাস্ত হওয়ার পরেও ঠিকাদার থেকে কমিশন বাণিজ্য গ্রহণের অবৈধ টাকায় সব কিছু ধ্বংস করে বরখাস্ত প্রত্যাহার করে একই পদে বহাল হয়। একই পদে বহাল হওয়ার পর থেকে তার দুর্নীতি আরও বেড়ে গেছে। যান্ত্রিক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম যান্ত্রিক বিভাগকে লুটপাটের অফিস হিসাবে পরিণত করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ক্রয়নীতিমালা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে কমিশন বাণিজ্য এবং লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌ প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরর্ত থাকা অবস্থায় প্রচুর অবৈধ টাকা ইনকাম করেছেন। সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের সামান্য হিসাব অভিযোগে উল্লেখ করেন,চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন পশ্চিম খুলশীর আজরিন টাওয়ার এ ৮ম তলায় ৩ টি নান্দনিক ফ্ল্যাট(৪-১১৭৫ স্কয়ার ফুট) (৮-১৭৩৯ স্কয়ার ফুট)(৫-১৬৯৯স্কয়ার ফুট) রয়েছে। উক্ত ৩ টি ফ্ল্যাটের আনুমানিক দাম ৪ কোটি টাকা। উল্লেখ্য যে, রেজিস্ট্রিকৃত দলিলে মৌজা দর অনুযায়ী নাম মাত্র প্রদর্শন করা হলেও প্রকৃত পক্ষে বেশি দাম দিয়ে উক্ত ফ্ল্যাট সমূহ ক্রয় করেন। যা মালিকের ব্যাংক হিসাব বিবরণী পর্যালোচনা ও একই ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাট মালিক থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সহজে প্রকৃত পক্ষে কত টাকায় ফ্ল্যাটটি ক্রয় করেছেন সে সম্পর্কে তদন্তকালে প্রমাণ করা যাবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন হালিশহর গ্রিন ভিউ আবাসিক এলাকায় ৭ টি ফ্ল্যাট রয়েছে। তার আনুমানিক মূল্য ১০ কোটির উপরে। কিন্তু সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার জন্য নাম মাত্র মূল্য দিয়ে ফ্ল্যাট সমূহ রেজি: করানো হয়।হালিশহর বিভিন্ন জায়গায় ১০ কাটা প্লটে বহুতল ভবন রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৫০ কোটি টাকার উপরে। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে বিনিয়োগকৃত সকল টাকা ঠিকাদার থেকে কাজ পায়িয়ে দিয়ে১৫% এর উপরে কমিশন বাণিজ্য থেকে আয় করা টাকা।ভবনটিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আরও ৬-৭ জন কর্মকর্তার বিনিয়োগ রয়েছে মর্মে গোপন সূত্রে জানা যায়। উক্ত কর্মকর্তা সমূহের ও সম্পদের অনুসন্ধান চলছে।সরকারি চাকুরি করে এতো টাকা কোথায় পাইছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মুনিরনগর ওয়ার্ডের মুন্সী পাড়ার বানক সোসাইটিতে একটা ১টি প্লট রয়েছে মর্মে গোপন সূত্রে তথ্য পাওয়া যায়। এই প্লটটি সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম প্রায় ১কোটি টাকায় ক্রয় করেছেন।প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এর স্ত্রী সেলিনার নামে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন চাঁন্দগাও আবাসিক এলাকায় ২ টি ফ্ল্যাট রয়েছে।প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এর স্ত্রী সেলিনার নামে অননা আবাসিক এলাকায় রয়েছে ৫ কাঠার একটি প্লট।সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এর স্ত্রী সেলিনার নামে কল্পলোক আবাসিক এলাকায় রয়েছে ৪ কাঠা একটি প্লট। যার মূল্য ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।
সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এর স্ত্রী সেলিনার নামে লালমনিরহাট জেলায় সদর উপজেলায় বিলাসবহুল একটি বাড়ি রয়েছে। যা চট্টগ্রাম বন্দরের অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা দিয়ে তৈরি করেছেন।প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এর স্ত্রী সেলিনা একজন কথিত কাপড় ব্যবসায়ী পরিচয় দে। কিন্তু আসলে তিনি কোনো ব্যবসা করেন না। তিনি দুর্নীতিবাজ ঘুস খোরের বউ হিসেবে চট্টগ্রাম শহর সহ সমগ্র বাংলাদেশ কানাডা, অস্টলিয়া, আমেরিকা, দুবাই, ভারত ইত্যাদি দেশে ঘুরে বেড়ায়।
সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম চট্টগ্রাম বন্দর এর যান্ত্রিক শাখা থেকে ঠিকাদার ও বিভিন্ন অতিরিক্ত যন্ত্র ক্রয় সহ নানা অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ বৈধ করার জন্য স্ত্রী সেলিনা কে নাম মাত্র কাপড় ব্যবসায়ী দেখিয়ে অবৈধ অর্থ বৈধ করার অপচেষ্টা ও ছেলে সিয়াম তাহজিব কে কানাডা পড়া লেখার নামে অবৈধ অর্থ বৈধ করার অপচেষ্টা ও অবৈধ টাকা কানাডা থেকে রেমিটেন্স এর মাধ্যমে বৈধ করার পায় তারা করে যাচ্ছে। তাছাড়া সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ছেলে সিয়াম তাহজিব অবৈধ টাকা দিয়ে কানাডায় সম্পদ অর্জন শুরু করেছেন। আবার কিছু টাকা দেশে প্রেরণ করেছেন।তদন্তে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সেলিনা এবং ছেলে সিয়াম তাহজিব এর নামে মানিলন্ডারিং ধারায় চার্জ গঠন করার জন্য বিনীত অনুরোধ করেন।সাবেক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম তার নিজের পরিবারের জন্য সাদা টয়োটা শ্রীমিও ব্রান্ড এর গাড়ি ব্যবহার
করেন।সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বন্দরের যান্ত্রিক শাখায় গাড়ির কেয়ারিং ব্যবসা করেন। গোপনসূত্রমতে তিনি ১৩টি গাড়ি দিয়ে বন্দরের যান্ত্রিক শাখায় কেয়ারিং ব্যবসা পরিচালনা করছেন।সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এতো এতো সম্পদ অর্জনের পিছনে বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন যন্ত্রপাতি ক্রয়-বিক্রয় ও যন্ত্র মেরামত থেকে। রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করলে দুর্নীতি সহজে প্রমাণ করা যাবে। তাছাড়া স্ক্র্যাপ বিক্রয় করে আনুমানিক কেজি অনুমান করে ৫০০০ হাজার টন স্ট্র্যাপ মালামালকে ২০০০ হাজার টন বলে বিক্রয় করার বাকি ৩০০০ হাজার টনের টাকা ভাগ বটোয়ারার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।তাছাড়াও প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সেলিনা এবং পরিবারের উপর নির্ভর তাছাড়া তার শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালিকার বিরুদ্ধে সম্পদ করার তথ্য রয়েছে। বিধায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করলে আসল ঘটনা এবং অবৈধ টাকার পরিমাণ সম্পর্কে জানা যাবে।সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫ টি ফ্ল্যাট।৩শ ফিট এলাকায় এলাকায় ৪ টি ফ্ল্যাট রয়েছে।যার আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যান্ত্রিক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বিরুদ্ধে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ও বিক্রয় এবং যন্ত্র সংরক্ষণের কাজে ১৫% কমিশন বাণিজ্যসহ প্রয়োজন বিহীন যন্ত্র ক্রয় করে নিজ স্ত্রী সেলিনা ছেলে মেয়ে শ্বশুর, শ্বশুরি,শ্যালক, শ্যালিকা, ভাই, বোন দের নামে তদন্ত করার জন্য দাবি জানান।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যান্ত্রিক বিভাগ থেকে দুর্নীতিবাজ ও ঘুস খোর এবং কমিশন ব্যবসায়ী প্রধান প্রকৌশলী আমিনুলই সলাম কে প্রত্যাহার ও যতদিন সম্পদের তদন্ত হয়নি ততদিন চাকুরিতে যোগদান না করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন অভিযোগপত্রে।
উপরের অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্তকে বারংবার বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আরএস