ময়মনসিংহে মোবাইল সিম তৈরি চক্রের তিন প্রতারক গ্রেপ্তার

আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
ময়মনসিংহে মোবাইল সিম তৈরি চক্রের তিন প্রতারক গ্রেপ্তার

তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে মৃত ব্যক্তিদের নামে মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন ও ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা করা চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে নগরীর গোহাইলকান্দি এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল সিম তৈরি, ফিঙ্গার হিটার, মেশিন, বায়োমেট্রিক স্ক্যানার ও তিন শতাধিক নকল সিম উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালি থানা পুলিশ শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম খান জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় কয়েকজন ব্যক্তি গোহাইলকান্দি এলাকায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন করে অন্যত্র বিক্রি ও প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানার একটি শক্তিশালী টিম অভিযান চালায়। অভিযানে হাফিজুল ইসলাম প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পুলিশ তাকে সঙ্গে নিয়ে রাতেই ইটাখোলা থেকে আজিজুল হক ও তানভীর রহমান কাব্যকে গ্রেপ্তার করে।

তাদের কাছ থেকে মোবাইল সিম তৈরি, ফিঙ্গার হিটার, মেশিন, বায়োমেট্রিক স্ক্যানারসহ তিন শতাধিক নকল সীম উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছে- তিনটি ল্যাপটপ, সাতটি মোবাইল ফোন, তিনটি ফিঙ্গার হিটার মেশিন, ফিঙ্গার বায়োমেট্রিক স্ক্যানার, আটটি বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার স্ক্যানার, ৩০ পিস ফিঙ্গার ছাপা যুক্ত নেগেটিভ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহারের রাবার, ৩০০ পিস গ্রামীণ সিম, সাদা কাগজে প্রিন্ট করা বিভিন্ন ব্যক্তির এনআইডি নাম্বারসহ ১৫ পাতার তালিকা, এবং একটি মোবাইল ট্যাব।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে রুজু করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সাজেদ কামাল প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সনাক্তকরণ ও জড়িতদের তথ্য সংগ্রহের জন্য গ্রেপ্তারদের সাতদিনের রিমান্ডে পাঠানোর আবেদন করেছেন।

ইএইচ