শরীয়তপুরের জাজিরায় বাসচাপায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় বাস আটক করায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা স্কুলছাত্রের হাত ভেঙে দিয়েছেন।
এ হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা রুবেল বেপারী তার লোকজন নিয়ে স্থানীয়দের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালাচ্ছেন। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং তারা ওই নেতার বিচার দাবি করেছেন।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে জাজিরা উপজেলার দক্ষিণ ডুবলদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত স্কুলশিক্ষার্থী হুমায়ন বেপারী (১৬) স্থানীয় দক্ষিণ ডুবলদিয়া আব্দুর রাজ্জাক হাই স্কুলের ছাত্র এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী। হামলার শিকার অপর ব্যক্তি দেলোয়ার বেপারী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২২ মার্চ (শুক্রবার) দুপুরে উপজেলার কুন্ডেরচর এলাকার ব্যবসায়ী শাকিল মল্লিক ঢাকা যাওয়ার পথে গনির মোড় এলাকায় শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের একটি বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় নিহত হন। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি আটক করে। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুবেল বেপারী ঘটনাস্থলে আসেন এবং বাস ছাড়িয়ে নিতে জনতার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এক পর্যায়ে তিনি তার বাহিনী নিয়ে স্থানীয়দের ওপর হামলা চালান। হামলায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় স্কুলছাত্র হুমায়নের হাত ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। এছাড়া দেলোয়ারও আহত হন।
এসএসসি পরীক্ষার্থী হুমায়ন বেপারী জানান, "আমি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় রাস্তা দিয়ে বাস আটক অবস্থায় দেখি। ওই সময় রুবেল বেপারী ও তার বাহিনী আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার বাম হাত ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হই। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।"
আহত দেলোয়ার বেপারী জানান, "ঘটনাস্থলে বাস আটকে রেখে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। এরপর রুবেল বেপারী তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে আমার দোকানে হামলা চালায়। আমি এ হামলার বিচার চাই।"
অভিযুক্ত রুবেল বেপারী ফোনে জানান, "আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আপনি বাস মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেন।"
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, "এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
ইএইচ