বাগেরহাটের বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঈদের জামাত উপলক্ষে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা মসজিদ প্রাঙ্গণে ভিড় জমান।
মুসল্লিদের অতিরিক্ত উপস্থিতির কারণে এখানে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে মসজিদ কমপ্লেক্সের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে দুটি প্যান্ডেল স্থাপন করা হয়, যেখানে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করেন খানজাহান আলী (রহ.) মাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা খালিদ।
সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন। এরপর সকাল ৯টায় তৃতীয় ও শেষ জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মাদ্রাসার পরিভাষক ও মৌলভীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ।
প্রতিটি জামাতে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং কোলাকুলির মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। সব মিলিয়ে ঈদের জামাত উপলক্ষে ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণ এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
প্রথম জামাতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানসহ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ সম্পন্ন করতে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল ষাটগম্বুজ মসজিদ। সকাল থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরী, জেলা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।
জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান বলেন, "প্রতিবারের মতো এবারও ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করায় কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ আদায় করা সম্ভব হয়েছে।"
ইএইচ