গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বর্বর হামলার প্রতিবাদে সমগ্র পৃথিবীর ন্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও ধর্মঘট করেছেন উপকূলীয় অঞ্চলের যুবারা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কলবাড়ী বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নিউ যমুনা শ্রীম্প হ্যাচারির সম্মুখে সংক্ষিপ্ত ধর্মঘটের মাধ্যমে শেষ হয়। শ্যামনগর উপজেলা যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই ধর্মঘটের আয়োজন করেন স্থানীয় যুব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অংশগ্রহণকারীরা ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন, `বন্ধ হোক, বন্ধ হোক; গাজায় গণহত্যা বন্ধ হোক`, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড’, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’, ’উই ওয়ান্ট জাস্টিস, প্যালেস্টাইন জাস্টিস’, ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ধর্মঘটে যুব জলবায়ু যোদ্ধা স.ম ওসমান গনী সোহাগ এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য কলামিস্ট, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, উন্নয়নকর্মী সৈয়দ আলী বিশ্বাস, নগর বিশেষজ্ঞ মো. জাহাঙ্গীর আলম, এনজিও কর্মী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, গাজী মাহিদা মিজান, সিডিও`র নির্বাহী পরিচালক গাজী আল ইমরান, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম (এসএসএসটি) ’র বুড়িগোয়ালিনী ইউনিটের সহ-সভাপতি মো. ওবায়দুল্লাহ আল মামুন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক বিক্রম বর্মণ, শ্যামনগর অনলাইন নিউজ ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. মারুফ হোসেন মিলন, মানবাধিকার কর্মী রোখসানা পারভীন ও বাবলু জোয়ার্দার প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদী ও ইহুদিবাদী শক্তিগুলো ফিলিস্তিনকে উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করেছে। সেখানে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। বোমা হামলায় রক্ত ঝরছে নিরীহ মানুষের। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশ্ব আর বসবাসের উপযোগী থাকবে না। আমরা ইসরায়েলের বর্বরতা ও তাদের সহযোগী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই।
বক্তারা আরও বলেন, ফিলিস্তিনে ছোট ছোট শিশু ও সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। এই নির্মমতা আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়, কিন্তু বিশ্ব বিবেক যেন নির্বিকার। সভ্যতার নামে যারা আমাদের নীতিকথা শোনায়, তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে কেন কথা বলে না, এই প্রশ্ন আজও রয়ে যায়। দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল ক্রমাগত ফিলিস্তিনকে কোণঠাসা করছে।
খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী মো. আবু ইছা বলেন, যদি এই নিপীড়ন চলতে থাকে, তবে কয়েক বছরের মধ্যেই ফিলিস্তিন বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে। আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং ন্যায়সংগত অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের এই প্রতিবাদ চলবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনী ফিলিস্তিনি নিরীহ জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। নির্বিচারে হত্যা করছে। ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয় শুরু হয়েছে। চলমান হামলা ও সহিংসতার জন্য ইসরায়েল দায়ী। উক্ত ধর্মঘট থেকে ফিলিস্তিনির জনগণের পক্ষে সমগ্র বিশ্বের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
আরএস