অভয়নগরে সেপটিক ট্যাংক থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
অভয়নগরে সেপটিক ট্যাংক থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

যশোরের অভয়নগরে নিখোঁজের ৩৩ ঘণ্টা পর ৫০ বছর বয়সী এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকার একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা মরদেহের ভিসেরা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তাঁকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের দেবপাড়া এলাকায় প্রতিবেশী নিয়ামুল শেখের শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগী হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন গৃহবধূ ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার এক দিন আগে ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে গরুর জন্য খাবার সংগ্রহ করতে বাড়ির পাশে বাঁশবাগানে যান ওই গৃহবধূ। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রতিবেশী নিয়ামুল শেখের শৌচাগারের ঢাকনা কিছুটা উঁচু অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর মরদেহ।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক খুলে মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয় খুলনার সিআইডি ল্যাবে। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস পর প্রাপ্ত ভিসেরা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গৃহবধূকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

মরদেহ উদ্ধারের পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীর স্বামী অভয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় প্রতিবেশী নিয়ামুল শেখ (২৬), তাঁর বাবা রমজান শেখ (৪৯) এবং চাচা ইউনুস শেখ (৪১)-কে। পরে পুলিশ তিনজনকেই গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে নিয়ামুল শেখ কারাগারে, অন্য দুইজন জামিনে মুক্ত।

নিহত গৃহবধূর পরিবার জানায়, তাঁদের দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে, বর্তমানে তিনি স্বামীর সঙ্গে বাড়িতেই থাকতেন। স্বামী স্থানীয় বাজারে একটি খাবারের দোকান চালান।

তদন্ত কর্মকর্তা, ভাটপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, “ভিসেরা রিপোর্টে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। মামলার তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে।”

বিআরইউ