কারা হেফাজতে মারা যাওয়া ছাত্রদল নেতার পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

রবিউল আলম ,পূবাইল (গাজীপুর) প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম
কারা হেফাজতে মারা যাওয়া ছাত্রদল নেতার পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

২০১৮ সালের ৬ মার্চ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় জাকির হোসেন মিলনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর রাজধানীর শাহবাগ পুলিশ ফাঁড়িতে তার ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন । রিমান্ড শেষে মিলনকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কারাগারে ১২ মার্চ অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় জাকির হোসেন মিলন। তিনি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার ছাত্রদলের সহ-সভাপতি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর নির্দেশনায় মরহুম জাকির হোসেন মিলনের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা, বিএনপি মিডিয়া সেল’র সদস‍্য ও ‘দেশমাতা ফাউন্ডেশন’-এর প্রধান সমন্বয়ক ব‍্যারিস্টার আবু সায়েম। শুক্রবার বেলা ১১টায় দিকে গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের মাজুখান গ্রামে মরহুম জাকির হোসেন মিলনের বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব ও ‘দেশমাতা ফাউন্ডেশন’-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘নিউজ টুয়েন্টিফোর’-এর নির্বাহী সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম ফরিদ প্রমুখ।

ব্যারিস্টার আবু সায়েম মরহুম জাকির হোসেন মিলনের পরিবারের সাথে কথা বলেন। তার সন্তানদের লেখাপড়ার খোঁজ-খবর নেন। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর পক্ষ থেকে এবং নির্দেশে এই অসহায় পরিবারকে দেখভাল করবেন বলে জানান,

তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ‘দেশমাতা ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে মিলনের দুই কন্যা সন্তানের জন্য মাসিক ‘শিক্ষা বৃত্তি’ অব্যাহত থাকবে বলে জানান ব্যারিস্টার আবু সায়েম।

সাবেক ছাত্রদল নেতা মরহুম মিলনের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার তানিয়া জানান, আমার বড় মেয়ে জান্নাতুল সুরাইয়া মাহি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে এবং ছোট মেয়ে আয়েশা জাকির চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে।

তারেক রহমানের নির্দেশে আমার সন্তানদের লেখাপড়ার খোঁজখবর নিতে আসছিলেন দেশমাতা ফাউন্ডেশন। অনেক চকলেট দিয়েছে বাচ্চাদের। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমাদের পাশে আছে তারেক রহমান ভাই। তিনি সবসময়ই আমাদের খোঁজখবর নেন। প্রতিমাসে আমার সন্তানদের শিক্ষা উপবৃত্তি দিয়ে আসছেন। তা দিয়েই ওদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছি। বিএনপি‍‍`র পক্ষ থেকে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

আরএস