গোয়ালন্দ-পাকশী নৌচ্যানেলের ইজারায় প্রায় ৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ী মো. আবু সাঈদ খান। বিআইডব্লিউটিএ-এর কাছ থেকে এক বছরের জন্য ইজারা নিয়ে চার্জ আদায়ে প্রশাসনিক জটিলতা, সীমানা সংকট ও নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছেন তিনি।
২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য ৩ কোটি টাকায় ইজারা নেওয়ার পাশাপাশি তিনি ৭৫ লাখ টাকা ভ্যাট ও আয়কর দিয়েছেন। কিন্তু সুনির্দিষ্ট সীমানা নির্ধারণ, পন্টুন সুবিধা ও নিরাপত্তার অভাবে আয় আদায় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
ইজারাদার আবু সাঈদ খান বলেন, ‘সীমানা না থাকায় নৌযানগুলো চার্জ না দিয়ে চলাচল করছে। ৩ মাস আদায় বন্ধ ছিল, এখনও পর্যন্ত অর্ধেক টাকা তুলতেই পারিনি।’
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা নদী বন্দরের উপ-পরিচালক সেলিম শেখ জানান, চুক্তির সব শর্ত মেনেই ইজারা দেওয়া হয়েছে, পন্টুন দেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না।
ভুক্তভোগীর দাবি, এই সংকট দ্রুত সমাধান না হলে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন ঝুঁকিপূর্ণ ইজারায় আগ্রহী হবেন না। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।
বিআরইউ