বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী মন্তব্য করে বলেছেন, "এখনো প্রশাসনে এরা ঘাপটি মেরে বসে আছে।"
তিনি বলেন, “আজকের অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি কিংবা জনগণের সম্পৃক্ততা নেই।”
সিলেট সম্পর্কে তাদের কোনো সঠিক ধারণা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যদি তারা সিলেটকে অন্য জায়গার মতো মনে করেন, তাহলে ভুল করবেন।”
সোমবার সিলেট নগরের সুরমা তীর সংলগ্ন সারদা হলের সামনে একুশে টেলিভিশনের রজত জয়ন্তি অনুষ্ঠানে কেক কেটে উদযাপন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “নিজেকে ক্ষমতাবান মনে করেন, তাহলে ভুল করবেন। আমি নাম উল্লেখ না করে বললাম, যেভাবে জনপ্রতিনিধিদের জনসম্পৃক্ততা থেকে আলাদা করছে ফ্যাসিস্টরা, এসব করে কাজ হয়নি, বিদায় নিতে হয়েছে।” তিনি এ সময় সতর্ক সংকেত দিয়ে বলেন, "এগুলো যেন আর না হয়।"
এর আগে সকালে বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসন থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। তবে ওই র্যালিতে বিএনপির নেতাদের অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাদের আনন্দের উৎসব, যা সার্বজনীন। এবারের উৎসব আমরা দীর্ঘ বছর ফ্যাসিস্টদের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে পালন করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই প্রতিটি অনুষ্ঠান ও উৎসবে যেন বাংলার বহমান ঐতিহ্যের ছাপ থাকে। অথচ বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময়ে বৈশাখী উৎসবের নামে ডিজে পার্টি হতো, যা বাংলার জনগণ কখনো মেনে নেয়নি।”
মিফতাহ্ সিদ্দিকী আরও বলেন, “নতুন বাংলাদেশের যে যাত্রা শুরু করেছি, সেই বাংলাদেশ যেন সবাই একসঙ্গে মিলে মিশে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।”
ইএইচ