ফেনীতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার শহরের ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, ফেনী’ নামের একটি সর্বদলীয় প্ল্যাটফর্ম।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মুসলমানদের গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের দাবিতে আয়োজিত এই সমাবেশে সকাল থেকেই অসংখ্য মানুষ কালিমার পতাকা মাথায় বেঁধে ও ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়ে ছোট-বড় মিছিলসহ মিজান ময়দানে জমায়েত হতে শুরু করেন।
বেলা ১১টার আগেই পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। তপ্ত বৈশাখী রোদ উপেক্ষা করে অংশগ্রহণকারীরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন পুরো এলাকা।
দারুল উলুম ওলামাবাজার মাদ্রাসার মুহতামিম নুরুল ইসলাম আদিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, হেফাজতে ইসলামের জেলা সভাপতি মাওলানা আফজালুর রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াকুব নবী ও গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, জামায়াতের জেলা আমির মাওলানা মুফতি আব্দুল হান্নান, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক, জেলা সভাপতি গাজী এনামুল হক ভূঁইয়া, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রহিম, খেলাফতে মজলিসের জেলা সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের জেলা সভাপতি মুফতি ইউসুফ কাসেমী এবং জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি ইলিয়াস হোসাইন।
বক্তারা ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে জাতিসংঘ ও আরব বিশ্বের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন।
তারা বলেন, “গণহত্যা বন্ধ কর, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন কর”—এই দাবিতে বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
একই সঙ্গে তারা মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বে একটি নতুন জাতিসংঘ গঠনের আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ইএইচ