নোয়াখালীতে অটোচালক হত্যার মূলহোতা গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
নোয়াখালীতে অটোচালক হত্যার মূলহোতা গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক বাবর হোসেন (১৮) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে র‍্যাব-১১। ঘটনায় জড়িত মূল হোতা মনিরুল ইসলাম মামুনকে (৩০) আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩-এর নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে মাইজদী পেট্রোল পাম্প এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত বাবর হোসেন নোয়াখালী পৌরসভার মধ্যম করিমপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে। আর আসামি মামুন একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, মামুনকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে নিহত বাবরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লিলেন গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে বাবরের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি।

এর আগে, গত ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবর হোসেন অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন দুপুরে সদর উপজেলার কোম্পানিঘাট সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকার একটি কবরস্থানের পাশে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর মামুন র‍্যাবের কাছে স্বীকার করে, সে আর্থিক সংকটে পড়ে বাবরের অটোরিকশা বিক্রির উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দত্তেরহাট এলাকায় বাবরকে ফ্রুটিকার সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একপর্যায়ে তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে সুইসগেট এলাকার একটি সবজি বাগানে নিয়ে গিয়ে গলায় গেঞ্জি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

র‍্যাব জানায়, হত্যার পর বাবরের স্যান্ডেল বাঁশঝাড়ের পাশে এবং গেঞ্জিটি পাশের কলাবাগানে রেখে পালিয়ে যায় মামুন। শুধু টাকার লোভে এমন নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত মামুনকে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খোয়া যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধারে এবং মামুনের সহায়তাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিআরইউ