ময়মনসিংহে ‘জুলাই বিপ্লব’-এ নিহত কলেজ শিক্ষার্থী শহীদ রিদওয়ান হোসেন সাগরের বাবার সামনে শহীদকে নিয়ে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীনের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ময়মনসিংহে প্রথম শহীদ হন কলেজ শিক্ষার্থী রিদওয়ান হোসেন সাগর। তার ছোট বোন আফিয়া তাবাসসুম সুপ্তির স্কুল সনদ সংশোধনের জন্য গত ৯ এপ্রিল আবেদন করেন। ওই আবেদনের অগ্রগতি জানতে সাগরের বাবা আসাদুজ্জামান আসাদ উপজেলা শিক্ষা অফিসে গেলে, অফিসার তাকে নানা অজুহাত দেখিয়ে অপেক্ষায় রাখেন এবং পরে জানান কাজটি জেলা শিক্ষা অফিসে প্রক্রিয়াধীন, সময় লাগবে।
সাগরের বাবা জানান, জেলা শিক্ষা অফিসারের ফোন নম্বর চাইলে মনিকা পারভীন তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বেরিয়ে আসার সময় অফিসে উপস্থিত অন্যরা তার পরিচয় জানতে চাইলে অফিসার ব্যঙ্গ করে বলেন, "তিনি নাকি কোথাকার কোন শহীদের বাবা!" এ সময় প্রতিবাদ করলে অফিসার অসম্মানজনক আচরণ করেন, যা তাকে মারাত্মকভাবে মর্মাহত করেছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য সচিব আলী হোসেন।
তিনি জানান, সাগরের বাবা তাকে ফোন করে ঘটনাটি জানিয়েছেন।
আলী হোসেন বলেন, “ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনে যারা রক্ত দিয়েছেন, আজ তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এমন আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক।”
তবে অভিযুক্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন বলেন, কাজের চাপের কারণে বিলম্ব হয়েছে এবং তিনি ব্যঙ্গ করে কিছু বলেননি বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমি এমন কোনো ঘটনার কথা জানি না।”
অপরদিকে, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার জানান, “সাগরের বাবা আমার কাছে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে পুরো ঘটনাটি জানিয়েছেন। আমি তাৎক্ষণিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।”
ইএইচ