দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক বলেছেন, বিগত আমলে এই দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। সে সময় দুদক বিষয়টি নজরে এনেছিল কি না, কিংবা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিল কি না, সে সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দুদিনব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “একজন ব্যক্তি নয়টি ব্যাংক কিনে নিলেন। পরে সেই ব্যাংকের টাকা বিদেশে পাচার হলো। দুদক কি সে সময় তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল, তা আমরা জানি না, কারণ তখন আমরা দুদকে কর্মরত ছিলাম না। আজকে আমাদের দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হচ্ছে। কারণ দুর্নীতিবাজদের আমরা যদি প্রশ্রয় না দিতাম, তাহলে তারা এতটা সাহসী হতো না।”
তিনি বলেন, “আমাদের সময় স্কুলে কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কনসহ নানা প্রতিযোগিতা হতো। এখন কেন দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন করতে হয়, বিতর্ক প্রতিযোগিতা করতে হয়? সমাজে বহু অসংগতি রয়েছে, যার বেশিরভাগই আমাদের নেতৃত্বস্থানীয়দের দ্বারা সংগঠিত। একজন মাদক ব্যবসায়ী শহরের মাঝখান দিয়ে মাদক নিয়ে যাবে, এটা কি সম্ভব? একজন সরকারি কর্মকর্তা কাজ শেষে ৫০ শতাংশ কমিশন নেবে, এত সাহস তার আসে কোথা থেকে? আমরা যদি সেই সাহস না দিই, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করি, তবে তারা দুর্নীতিতে জড়াতে পারবে না। আমাদের আত্মসমালোচনা করা উচিত।”
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া।
দুই দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় জেলার মোট ১৪টি বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সরযূ বালা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়।
ইএইচ