যশোরের অভয়নগরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণে ব্যয় করা ২৬ কোটি টাকা এক বছরের মধ্যে জলাঞ্জলি হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, মাত্র এক বছর আগে নির্মিত সড়কটি এখন এমনভাবে ভেঙে পড়েছে যে, চলাচলের জন্য পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে গেছে। আসন্ন বর্ষায় সড়কটির অবস্থার আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার বেশ কিছু অংশে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, এবং কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ফেটে গেছে। এই অবস্থায় সড়কটি শীঘ্রই চলাচলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
এলাকাবাসী জানান, সড়কটি নির্মাণের কাজ শুরু থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সড়কটি ভাঙ্গাগেট-বাদামতলা-আমতলা ভায়া মরিচা নাউলী বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত, এবং এর নির্মাণে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও পল্লী সংযোগ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের (আরবিআইপি) অধীনে ২৬ কোটি ৮ লাখ টাকার বাজেট নির্ধারিত ছিল। তবে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নির্মাণ কাজের সময় বেশ কয়েকবার নির্ধারিত মেয়াদ পেরিয়ে যায়, এবং কাজ শেষ হওয়ার পরই সড়কটি নষ্ট হতে শুরু করে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণ ছিল নিম্নমানের, এবং প্রয়োজনীয় তদারকি ছিল না। এ কারণে এক বছরের মধ্যেই সড়কটি ভেঙে পড়েছে, যা সরকারের টাকার অপচয় হিসেবে দেখছেন তারা।
এলাকাবাসীর দাবি, এই সড়কটি নড়াইল, গোপালগঞ্জ এবং অভয়নগর উপজেলার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের পথ। তবে, রাস্তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন।
অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল হুদা বলেন, ‘এভাবে রাস্তা খারাপ হওয়ার কথা ছিল না। যদি রাস্তা চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে থাকে, তবে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাতে বলেছি।’
এদিকে, যশোর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহাবুবুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি সড়কটির পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত নন, তবে দ্রুত বিস্তারিত জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্সের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের প্রতিনিধি মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সড়কটির দ্রুত সংস্কার করা না হলে তাদের জন্য চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়বে।
বিআরইউ