চট্টগ্রাম নগরীর একে খান মোড়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মোহাম্মদ শওকত আলী।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাশেম আলী।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ভোগদখলে স্থিত থাকলেও কিছুদিন পূর্বে পাঁচলাইশ এলাকার ট্রিটমেন্ট হাসপাতালের ম্যানেজার দিদারুল আলম প্রায় শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিয়ে টিনের ঘেরাবেড়া দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে যা বেআইনি। জায়গাটি বিএস সরকারি খাস খতিয়ানে গেলেও আরএস ও পিএস খতিয়ান ব্যক্তি মালিকানাধীন ফকিরতালুক নিবাসী আহমেদুর রহমানের নামে চূড়ান্ত রয়েছে। উক্ত জায়গাটি আহমেদুর রহমানের ওয়ারিশ মো. সেলিম গং- এর পক্ষে আমমোক্তার গ্রহীতা মোহাম্মদ শওকত আলী দীর্ঘদিন ভোগদখলে স্থিত আছে। এই বিষয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং- ১৯২০/২০২৫ নং মামলা দায়ের করলে উক্ত জায়গায় সকল প্রকার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিসি মহোদয় পাহাড়তলীস্থ কাট্টলী সার্কেলের এসিল্যান্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। কিন্তু বাদী জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক,কাট্টলী সার্কেলের এসিল্যান্ড এবং ওসি আকবরশাহ থানাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গেলেও নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য উনারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এমনকি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) নুরুল্লাহ নুরী মহোদয় একাধিকবার এসিল্যান্ডকে কাজ বন্ধ করার জন্য ফোন করে বলার পরেও উনি কর্ণপাত করেন নাই। মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে কাজ করার বিষয়ে কাট্টলী সার্কেলের এসিল্যান্ড মেহেদি হাসান বলেন এই বিষয়ে আপনারা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেন, আমার দপ্তর এই জায়গার দখল অথবা কাজ বন্ধের ব্যাপারে আমি কিছু করতে পারবোনা। জায়গাটি ডিসি ভাড়া দিয়েছেন, উনিই কাজ বন্ধ করতে পারবেন। আমরা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,যারা এই দখল বাণিজ্যে জড়িত তদন্তপূর্বক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ সেলিম,ফরহাদ পারভেজ, হাসান চৌধুরী, আবুল হাশেম চৌধুরী,আরিফ হোসেন বাবলু,অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, খুরশিদ আলম, মোহাম্মদ ইউসুফ, আকতার আলী, সেলিম মিয়া, নাজিম চৌধুরী, আহসানুল চৌধুরী, মো. শাহজাহান শেখ, মো. হাসান মিয়া, মো. মাসুদ মিয়া, আবু বক্করসহ আরো অনেকে।
আরএস