অভয়নগরে কয়লা ব্যবসার নামে প্রতারণা, চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম
অভয়নগরে কয়লা ব্যবসার নামে প্রতারণা, চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় কয়লার বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় একটি প্রতারক চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। কয়লা সরবরাহের নামে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত চক্রটি কিছুদিন গা-ঢাকা দিলেও সম্প্রতি আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে চক্রটির চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার গভীর রাতে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও যশোরের কেশবপুর উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ঝালকাঠি সদর উপজেলার কৃষ্ণকাঠি গ্রামের আব্দুল মালেক খাঁনের ছেলে কালাম খান, ভাণ্ডারিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাটি গ্রামের মৃত লেহাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে নাসির উদ্দিন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রুস্তমপুর গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম এবং জামাল উদ্দিনের ছেলে আখতারুজ্জামান।

যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুরুল হক ভূঁইয়া জানান, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ইছামতশেরপুর এলাকার এসবি ইটভাটার মালিক সাজু প্রধান ও ম্যানেজার টুলু মিয়া যশোরের মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কয়লা কেনার জন্য যোগাযোগ করেন।

গত ১৯ মার্চ তারা যশোরে এসে প্রতারকদের সাথে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার একটি কয়লা ডিপোতে যান। সেখানে তাদের সামনে ৫টি ট্রাকে মোট ১১৯ টন কয়লা লোড করা হয় এবং স্কেলিং শেষ করে প্রতারকরা ২০ লাখ ১১ হাজার ১০০ টাকা দাবি করে। ভাটা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজের দুটি অ্যাকাউন্টে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। বাকি টাকা কয়লা পৌঁছানোর পর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রতারকরা কয়লা পাঠায়নি এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপন করে।

অবশেষে টাকা ফেরত না পেয়ে ভাটার ম্যানেজার টুলু মিয়া প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এরপর ডিবির একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে কালাম খান ও নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে যশোরের কেশবপুর থেকে মনিরুল ইসলাম ও আখতারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও বরিশালে মোট ১২টি মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

ইএইচ