নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে বিঘ্নিত চিকিৎসা সেবা

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে বিঘ্নিত চিকিৎসা সেবা

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক, নার্স এবং সহায়ক কর্মী সংকট চলতে থাকায় হাসপাতালে আসা রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৩১টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৯ জন। ৩১ জন কর্মকর্তার মধ্যে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন মাত্র ৫-৬ জন।

চিকিৎসক সংকটের কারণে প্রতিদিনই ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরতরা। অধিকাংশ সময় জরুরি চিকিৎসা কিংবা প্রসূতি সেবাও ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ১টি পদের বিপরীতে কর্মরত ১ জন। আরএমও, গাইনি, মেডিসিন, এনেস্থেসিয়া, কার্ডিওলজি, চক্ষু, ইএনটি, চর্ম ও যৌন—এই বিভাগগুলোতে কেউ নেই।

সার্জারি, শিশু ও অর্থোপেডিক বিভাগে একজন করে কর্মরত রয়েছেন। মেডিকেল অফিসার পদে ৭ জনের মধ্যে কর্মরত ৫ জন, শূন্য ২টি পদ। ডেন্টাল পদ পূর্ণ।

উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রসমূহের অবস্থা পাকুটিয়া, ভাদ্রা, গয়হাটা ও মোকনা—এই চারটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনো চিকিৎসক নেই। অন্যগুলোতে ১ জন করে কর্মরত থাকলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়, নার্স ও ক্লিনার পদেও রয়েছে দীর্ঘদিনের শূন্যতা। ফলে হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। রোগীরা অভিযোগ করেছেন, শৌচাগার ব্যবহার অনুপযোগী, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি রয়েছে সর্বত্র। এ ছাড়া খাবারের মান খুবই নিম্নমানের এবং অপ্রতুল। অনেকে খাবার খেতে পারেন না বলে জানান।

রোগীরা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ঠিকমতো ওষুধ পাওয়া যায় না। খাবারেও রয়েছে অনিয়ম। এমনকি সাধারণ রক্ত, ইউরিন, এক্স-রে কিংবা আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা করানোর জন্য বাইরে যেতে হয়। এতে সময় ও অর্থ দুটোতেই বাড়তি চাপ পড়ে।

নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্রুত জনবল নিয়োগ না হলে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও অবনতির দিকে যাবে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাফিজুর রহমান বলেন, চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পদ পূরণের কাজ চলছে।

ইএইচ