মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলায় "শ্রীপুর খামার পাড়া হাটের ইজারা নিলেন আওয়ামী লীগ নেতা - ইজারা আদায় করছে বিএনপি নেতা"।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় কর্তৃক ০৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ২০ মার্চ ২৫ সালে খামারপাড়া হাটের অনুকূলে সর্বোচ্চ দর দাতা হন আওয়ামী লীগের নেতা কুটি চেয়ারম্যান ও মো: রবিউল মিয়া। সংশ্লিষ্ট তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ২৭,১০,১০০/-(সাতাশ লক্ষ দশ হাজার একশত) টাকা দিয়ে উপজেলা হাট-বাজার দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রশাসক,উপজেলা পরিষদ কর্তৃক দাখিলকৃত দরটির অনুমোদন নেয়।হাট-বাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তির শর্ত মোতাবেক জামানত হতে মোট দর বাবদ সাতাশ লক্ষ দশ হাজার একশত টাকার ৫% অর্থ বাবদ একলক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার পাঁচশত পাঁচ টাকা সংরক্ষণ।এবং দাখিলকৃত দর বাবদ ২৭,১০,১০০/-(সাতাশ লক্ষ দশ হাজার একশত) টাকা জামানতের ২৫% সহ)বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক,শ্রীপুর শাখার চলতি হিসাব নং-৪৫৩ এ জমা প্রদান করে হাটের ইজারা নেন ওই আওয়ামী নেতারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে,উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জী বলেন,নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইজারার অর্থ জমা প্রদানে ব্যর্থ হলে দরপত্র বিজ্ঞপ্তির শর্ত মোতাবেক ইজারা বাতিল পূর্বক জামানতের সমুদয় অর্থ বাজেয়াপ্ত করে বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ থাকলেও উক্ত হাট ইজারাদার মালিকপক্ষ উক্ত টাকা পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছেন।এবং দাখিলকৃত দরের ১৫% ভ্যাট বাবদ ৪,০৬,৫১৫/- টাকা এবং ১০% আয়কর বাবদ ২,৭১,০১০/- টাকা প্রচলিত বিধি মোতাবেক নির্ধারিত খাতে জমা প্রদান পূর্বক চালানের কপি অত্রাফিসে জমা প্রদান করতে বলা হয়েছিলো তারা তা পরিশোধ করেছে।তাছাড়া সমুদয় অর্থ পরিশোধের পরপরই আমরা শ্রীপুর উপজেলা এসিল্যান্ডকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাকে হাটের সীমানা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য।খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই ইজারাদারকে চুক্তি সম্পাদনপূর্বক বিধি মোতাবেক হাটের দখল হস্তান্তর করে দিবেন এসিল্যান্ড।
তবে এ হাটবাজার`টির ইজারা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে,`ওই উপজেলার দুই বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে`। তবে তারা বলছেন,এটি আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের ভিত্তিহীন অভিযোগ।
অন্যের ক্রয় করা হার্ট দখলবাজির বিষয়ে যুবদল নেতা শাহ আলম তুফান সদস্য সচিব শ্রীপুর উপজেলা যুবদল তিনি বলেন,মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন কুটি মিয়ার নানা অভিযোগ এনে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার খামারপাড়া বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা` -সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান রাজনের ভাই চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেনের বিরুদ্ধে দুঃশাসন,অপব্যবহার এবং সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগ আনেন।তাছাড়া আমি তার হাটের ইজারা উত্তোলন করিনি এবং তার হাটে যায়নি।
শ্রীকোল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুল আলম জোয়ার্দ্দার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।সেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন কুটি মিয়া ‘স্বেচ্ছাচারিতার’ মাধ্যমে পরিষদ পরিচালনা করছেন।মানববন্ধন করে “শ্রীকোল ইউনিয়নবাসী"তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।এ সময়ে এসে জনগণ কেন তাকে হাটের ইজারা দেবে।
তবে এ বিষয়,শ্রীকোল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও শ্রীপুর উপজেলা হাটবাজার কমিটির সদস্য কুতুবুল্লাহ হোসেন কুটি মিয়া বলেন, হাট-বাজার ইজারা বাবদ ৩৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ইতোমধ্যেই প্রদান করা হয়েছে।এই হাটেই ১৪ই এপ্রিল সোমবার আশরাফুল ও তুফানের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন অনুসারী নিয়ে খামারপাড়া বাজার মৎস্য আড়তে যেয়ে বলেন যারা হাট ক্রয় করেছেন। তাদের হাটের ইজারা বা খাজনা দেয়া যাবে না।আমাকে দিতে হবে হাটের ইজারা।আমার লোকজন তুলবে ইজারা। এ বিষয় আমার কাছে অভিযোগ আসলে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে সাথে অবগত করি, তিনি আমাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন,আমি লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি।
আরএস