আট মাসে ১১ খুন

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন গিয়াসউদ্দীন কাদের চৌধুরী

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন গিয়াসউদ্দীন কাদের চৌধুরী

চট্টগ্রামের রাউজানে একের পর এক খুনের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত সাড়ে আট মাসে ১১ জন খুন হয়েছেন। তার মধ্যে ৮ জনেরই প্রাণ গেছে রাজনৈতিক বিবাদে। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দীন কাদের চৌধুরী সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, শুম-খুন ও চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। 

তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেন, রাউজান উপজেলা চট্টগ্রাম জেলার সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত ইতিহাস ও ঐতিহ্য ভরা এক অনন্য জনপদ। রাউজান এলাকার জনসাধারণ বিগত দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্টদের অত্যাচারে এক নারকীয় বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করেছিল। চট্টগ্রামের ফ্যাসিবাদের অন্যতম গডফাদার, চট্টগ্রামের জুলাই-২০২৪ গণহত্যার মূল মাস্টারমাইন্ড ও একাধিক গণহত্যার সাথে জড়িত সাবেক এমপি ফজলে করিম রাউজানকে অবৈধ অস্ত্রের মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করেছিল। গুম-খুন, রাহাজানি, অত্যাচার, যৌননিপীড়ন, ধর্ষণ, ভূমি জবরদখল, সংখ্যালঘুর উপর নির্যাতন, রাউজানের সাধারণ মানুষকে বিতাড়ন সহ এমন কোন ঘৃণা কাজ নেই যা এই স্বৈরাচার এমপি করেনি। ফজলে করিম এর এই কালো ইতিহাস শেষ হওয়ার পর, জুলাই-২০২৪ বিপ্লব পরবর্তী সময়ে রাউজানে স্থিতিশীল পরিস্থিতি ফিরে এসেছিল।কিন্তু হঠাৎ অজানা কারনে বিগত কয়েক মাস যাবত দক্ষিণ রাউজান এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে।প্রতিনিয়ত এ এলাকায় গুম-খুন, অস্ত্রের মহড়া, লুটপাট, চাঁদাবাজি, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যে এলাকাবাসীর মাঝে চরমআতংক বিরাজ করছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টরা রাউজানের জাতীয়তাবাদী দলে ঢুকে রাউজানে বেশ কয়েকটি হত্যাকান্ডসংগঠিত হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে সমগ্র চট্টগ্রাম ও দেশ জুড়ে দক্ষিণ রাউজান এলাকাটি এখন ‍‍`কিলিং জোন‍‍` এবং টক অব দ্যা টাউন‍‍`-এ পরিণত হয়েছে।

রাউজান বাসির পক্ষ থেকে আমরা দক্ষিণ রাউজানে জুলাই-২০২৪ পরবর্তী চলমান এই নৈরাজ্য পরিস্থিতি বন্ধ করার লক্ষ্যে উক্ত এলাকাবাসীর জান-মালের নিরাপত্তা বিধানে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোকে দাবি আকারে উপস্থাপন করছি:১। দক্ষিণ রাউজান এলাকায় একটি র‍্যাব বা যেকোনো বিশেষায়িত ইউনিট স্থাপন করা হোক।০২। রাউজান এলাকায় নিয়মিত সেনাবাহিনী/র র‌্যাব/পুলিশি টহল জোরদার করা হোক। ৩। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। ৪। ফ্যাসিস্ট সরকারের আত্মগোপনকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার ব্যবস্থা করা হোক।অতএব, আপনার নিকট বর্ণিত দাবিগুলোসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে আপনার জরুরি হস্তক্ষেপ একান্ত কামনা করছি। অন্যথায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

আরএস