মামুনুল হক

শেখ হাসিনার রাজনীতির পুনর্বাসন এ দেশের মানুষ মেনে নেবে না

ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ০৯:০২ পিএম
শেখ হাসিনার রাজনীতির পুনর্বাসন এ দেশের মানুষ মেনে নেবে না

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধমূলক। তিনি শাসনের নামে শোষণ করেছেন। তার রাজনীতি ছিল বিকারগ্রস্ত; স্বাভাবিক রাজনৈতিক চিন্তা থেকে বিচ্যুত। তাই এ দেশের মানুষ তার রাজনীতির পুনর্বাসন মেনে নেবে না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে খেলাফত মজলিস আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা আফজালুর রহমান, কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, অপর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ নোমান এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া।

বক্তব্য রাখেন—জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি আবদুল হান্নান, জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর ওমর ফারুক, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব নবী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রহিম, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া, জেলা খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি মাওলানা হাকিম আমীর হোসাইন ও সহ-সভাপতি মাওলানা নাজমুল আলমসহ বিভিন্ন উপজেলা সভাপতি ও নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি ক্বারী আবু বকর ছিদ্দিক। বক্তব্য রাখেন ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল আজিজ এবং আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন সংস্থার সভাপতি মাওলানা আবদুল ফাত্তাহ।

মামুনুল হক বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শত শত মামলা দায়ের করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন, কিন্তু কোনো মামলাই এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। অথচ অন্য অনেক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ইতোমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শাপলা চত্বর, বিডিআর বিদ্রোহ ও ‘২৪-এর বিপ্লব’-সহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। ফ্যাসিবাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগস্ট বিপ্লবের চেতনা বাস্তবায়ন না হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। আগামী বাংলাদেশের নেতৃত্ব তাওহিদী জনতার চেতনায় গড়ে তুলতে হবে।

খেলাফত আমীর আরও বলেন, সংবিধান সংশোধনের নামে কোনো বহুত্ববাদী বা কোরআনবিরোধী ধারা এ জাতি মেনে নেবে না। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলামবিরোধী প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং এ কমিশন বাতিল করতে হবে। আগামী ৩ মে’র মধ্যে প্রস্তাব বাতিল না হলে, কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হতে হবে ভারতের প্রভাবমুক্ত, একটি স্বতন্ত্র ইসলামি চেতনায় গড়া রাষ্ট্র।

সব ইসলামী দলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি ইসলামি রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।

বিএনপি ও এনসিপির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘২৪ বিপ্লবের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ইসলামপন্থীদের ঐক্যই পারে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। এটি সম্ভব হবে একমাত্র আল্লাহর বিধানের আলোকে, মানুষের রচিত মতবাদ দিয়ে নয়।

ইএইচ