রেলওয়ে কিন্ডার গার্টেন পাহাড়তলীতে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান

চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
রেলওয়ে কিন্ডার গার্টেন পাহাড়তলীতে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান

চট্টগ্রামের রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেন ১৯৭৮ সালে তৎকালীন বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. আফলাতুনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সন্তানদের প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান লক্ষ্যে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন অধ্যাপক মো. আসিফুল হক খান (প্রাক্তন সহকারী অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম কলেজ)। তার সুযোগ্য সন্তান এবং বর্তমান সরকারের রেলওয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মাদ ফাওজুল কবির খান পিতার স্মরণে ও সম্মানার্থে “প্রফেসর মুহাম্মদ আসিফুল হক খান-সুরাইয়া বেগম মেমোরিয়াল ট্রাস্ট” গঠন করেন।

ট্রাস্টের উদ্যোগে শনিবার সকাল ১১টায় রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মাঠে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষিকা শাহানা জান্নাত ও সুমি সেন। সভাপতিত্ব করেন সালমা আক্তার (অধ্যক্ষ, রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেন)।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লে. কর্নেল মো. রুহুল মুনির খান (অব.), ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ কবির সোহেল (ট্রাস্ট প্রতিনিধি), মো. সুবক্তগীন (মহাব্যবস্থাপক, পূর্বাঞ্চল, বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম) এবং এ.বি.এম কামরুজ্জামান (বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক, চট্টগ্রাম)।

সভাপতি সালমা আক্তার ১৯৯৮ সালে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৪ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালে ডি.আর.এম এর সহায়তায় বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ৪০৬০ স্কয়ার ফিটের একতলা ভবন নির্মিত হয় এবং ২০২১ সালে দ্বিতীয় তলা যুক্ত করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১৫ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন, যারা সীমিত সুযোগের মধ্যেও নিরলসভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলছেন।

তবে বিদ্যালয় বর্তমানে কিছু সমস্যার সম্মুখীন, যেমন- সামনের রাস্তাটির বেহাল দশা এবং বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সমস্যা। পাশাপাশি, পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে সীমানা প্রাচীর ছোট হওয়ায় বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ এবং অসামাজিক কার্যকলাপের ঝুঁকিও দেখা দিয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে অভিভাবকরা রেলওয়ে জি.এম ও ডি.আর.এম-এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির তিনজন করে শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। সভাপতি সালমা আক্তার তার সমাপনী বক্তব্যে জানান, প্রতিবছর এভাবে মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান অব্যাহত থাকবে।

ইএইচ