অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম

শেখ মুজিব বহুদলীয় গণতন্ত্র ধ্বংস করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ০৮:১২ পিএম
শেখ মুজিব বহুদলীয় গণতন্ত্র ধ্বংস করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন

শেখ মুজিবুর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ধ্বংস করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। সে সময় মানুষের বাকস্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাকশাল বিলুপ্ত করে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এজন্য এদেশের মানুষ তাকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক হিসেবে জানে।

রোববার বিকেলে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবে ভারতের সহায়তায় ২০০৮ সালে কারচুপির মাধ্যমে নীলনকশার নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছিলেন। তার আমলে, ২০১৪ সালে বিনা ভোটে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে সম্পন্ন করে তার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে মামা-ভাগ্নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যার মেয়াদ ছিল মাত্র ৭ মাস।

অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে প্রশাসন ব্যবহার করে গুম ও হত্যা করেছে শেখ হাসিনার সরকার। তার আমলে হাজার হাজার নেতাকর্মী পঙ্গু হয়ে গেছেন। এসব ঘটনার জন্য শেখ হাসিনাকে এদেশের মাটিতেই বিচার হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান শাহীন। এ সময় উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলন শেষে তোফাজ্জেল হোসেনকে সভাপতি, মজিবার রহমানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মাহফুজুর রহমান সুমনকে সাধারণ সম্পাদক, আহাদুল হক ও হাসান ইমামকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শাহীন আলমকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে আমলা ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়।

ইএইচ