স্টক মার্কেটে সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনের বিষয়ে ট্রেকহোল্ডারদের নিয়ে তৃতীয় কর্মশালা আয়োজন করে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। গত রবিবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ ব্যাংক, ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল), ডিএসই, বিভিন্ন ব্যাংক, এনবিএফআই, ইন্স্যুরেন্স, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুইটি ফান্ডের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন।
ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক ও স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান সৈয়দ আল আমিন রহমানের সঞ্চালনায় এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডিবিএল’র মহাব্যবস্থাপক মাইনুল হক, ডিএসই’র আইটি বিভাগের অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রুহুল আমিন এবং সিস্টেম অ্যান্ড মার্কেট এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জিসান মোহাম্মদ বিন হাসান। সৈয়দ আলামিন হক সরকারী বন্ড ট্রেডিংয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এছাড়া সিডিবিএল’র মহাব্যবস্থাপক মাইনুল হক সরকারী সিকিউরিটিজ লেনদেনের সামগ্রিক কাঠামো এবং ডিএসই’র দুই সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রুহুল আমিন ও জিসান মোহাম্মদ বিন হাসান সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনের পদ্ধতি তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য যে, স্টক এক্সচেঞ্জের সেকেন্ডারী মার্কেট প্লাটফর্মে সরকারী সিকিউরিটিজের লেনদেন চালু করার জন্য ৭ টি প্রতিষ্ঠান একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: অর্থমন্ত্রণালয় (ফাইন্যান্স ডিভিশন ও ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউট ডিভিশন), বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল ও সিসিবিএল। সংশ্লিষ্ট এই কাজের অগ্রগতির অংশ হিসেবে ১২ জুন, ২০২২ তারিখে এই পাঁচ পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে স্টক এক্সচেঞ্জের প্লাটফর্মে সরকারী সিকিউরিটিজ লেনদেনের প্রেক্ষাপট ত্বরান্বিত হলো। আশা করা যাচ্ছে অচিরেই সকল পক্ষের সমন্বিত প্রস্তুতি সাপেক্ষে সরকারী সিকিউরিটিজ লেনদেন শুরু হবে। যার মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীদের তুলনামূলক ঝুঁকিপূর্ণ ইক্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগের পাশাপাশি ঝুঁকিহীন ডেট মার্কেটে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরী হলো। পাশাপাশি এ বাজারে যে সকল বিনিয়োগকারী ঝুঁকিহীন বিনিয়োগে আগ্রহী এবং এই সংশ্লিষ্ট প্লাটফর্মে না থাকার কারণে এ বাজারে এতদিন যুক্ত ছিলেন না তাঁদেরও সম্পৃক্ত হবার প্রেক্ষাপট তৈরী হলো। অর্থাৎ এতে পুঁজিবাজারে সক্রিয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। যা বাজার সম্প্রসারণ এবং দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে সমানভাবে সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ইএফ