বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) উন্নয়নের বিকল্প নেই বলে মনে করেন ব্যবসায়িদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) ও ফাউন্ডেশন ফর এমএসএমই ক্লাস্টার (এফএমসি) অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে বাংলাদেশ আগ্রহী জানিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ ব্যবসা এসএমই’র অন্তর্ভুক্ত।
তাই এদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এসএমই খাতের উন্নয়নের বিকল্প নেই। এজন্য ব্যাংকগুলোকে এসএমই খাতে ঋণ বিতরণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতে ক্লাস্টারভিত্তিক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, একেক জেলায় একেক শিল্পের কাঁচামাল সহজলভ্য।
ঐসব জেলায় শিল্পভিত্তিক ক্লাস্টার উন্নয়নে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে “এক জেলা, এক পণ্য” শীর্ষক কার্যক্রম বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে দুদেশই লাভবান হবে।
এসময় বাংলাদেশের এসএমই ফাউন্ডেশন ও ভারতের এফএমসির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের এমডি মো. মফিজুর রহমান।
ফাউন্ডেশন অব এমএসএমই ক্লাস্টার অব ইন্ডিয়া’র সিনিয়র উপদেষ্টা ড. তমাল সরকার ভারতের এমএসএমই উন্নয়নে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দুদেশের শিল্পের ধরণ, বাজার চাহিদা ও সাংস্কৃতিক মিল রয়েছে। তাই ভারতের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য কাজে দেবে।
বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন, স্মল ইন্ডান্ট্রি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপক ও এফএমসি ইন্ডিয়ার এর পরামর্শক সুরেন্দ্র শ্রীবাস্তব ও সিআইআই’র পরিচালক অমিত কুমার।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালকবৃন্দ ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
টিএইচ