একটি গোষ্ঠি পুঁজিবাজারকে পেছনে দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে সংকট কাটিয়ে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলেও মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট ভবন (আইডিইবি) মিলনায়তনে তিনদিন ব্যাপী অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটা জানান।
অর্থসূচক সম্পাদক ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়্যাতুল ইসলাম।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। আর সেই গোষ্ঠীই পুঁজিবাজার নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুঁজিবাজারকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা আশা করছি, এ সংকট কাটিয়ে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে, বাজার ভালো হবে।
তবে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও দেশে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণে শিক্ষিত বিনিয়োগকারীর প্রয়োজনীয়তার উপরও গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। টিপু মুনশি বলেন, বৈশ্বিক ক্রাইসিসের মধ্যেও আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। উন্নয়নের সব ক্ষেত্রেই শিক্ষিত জাতি দরকার। সেই সঙ্গে শিক্ষিত বিনিয়োগকারী প্রয়োজন। পুঁজিবাজার থেকে ৫০ শতাংশ অর্থায়ন করা প্রয়োজন। এখান থেকে বেশি অর্থের যোগান করতে পারলে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, গত ১২ বছরে বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছে, আমরাও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। পুঁজিবাজার শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। একটি পূর্ণাঙ্গ বাজার গড়তে কাজ করতে চাই। এই খাতের পত্রিকাগুলো আমাদের কাজ করতে অনেক সহযোগিতা করছে। অর্থসূচক সবসময় নতুন দিকনির্দেশনা দিয়ে পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের পাশে ছিলো। গুজব ছড়ানোয় অনেকে কাজ করছে। তাই জেনে শুনে বিনিয়োগ করতে হবে। গুজবে কান দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, দেশের নিবন্ধিত কোম্পানির সংখ্যা অনেক। তবে পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলোর উপস্থিতি একেবারে কম। পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজারে আসা উচিৎ। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পুঁজিবাজার থেকে আসতে হবে। এছাড়া এসডিজি অর্থায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান কমিশন আইনগত সংস্কার সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে।
সভাপতির বক্তব্যে অর্থসূচক সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, বিনিয়োগকারীদের সচেতন বাড়াতে আমরা এই এক্সপো শুরু করেছিলাম। ২০১০ সালের ধসের পর বাজারের প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। তাদের সেই চিন্তাভাবনা দূর করতে এই আয়োজন করা হয়। বর্তমানে অনেকে গুজব ছড়ায়। এতে কান দেওয়া উচিৎ না। একটু ধাক্কা খেলেও বাংলাদেশ সব সংকট কাটিয়ে ভালো দিকে যাচ্ছে। তাই কোনো গুজবে কান দেওয়া উচিৎ না।
এক্সপোতে অন্যান্য অতিথির মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, বাংলাদেশ পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট আনিস উদ দৌলা, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও উপস্থিত ছিলেন ।
টিএইচ