দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঠ থেকে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠায় কমেছে দামও। বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় পাইকারি বাজারে কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা। এতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে।
চাষি ও পাইকারদের দাবি, এ সময় পেঁয়াজ আমদানি করলে দেশের কৃষকরা লোকসানে পড়বেন। পেঁয়াজ আবাদে উৎসাহ হারাবেন কৃষকরা। তাই এ মুহূর্তে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখার দাবি জানান তারা।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে বলে জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন। তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক আমদানি হলেও বর্তমানে তা পাঁচ-সাত ট্রাকে নেমেছে। আমদানি কমায় রাজস্ব আহরণও নিম্নমুখী। বন্দর দিয়ে ১ থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৪টি ট্রাকে এক হাজার ২৪৮ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্র জানায়, বন্দরে নতুন ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা আর পুরনো ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২১ থেকে ২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার শাহ আলী বলেন, দেশীয় ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম প্রায় একই। সেক্ষেত্রে গুণগত মানের দিক থেকে দেশি পেঁয়াজ অনেক ভালো। এ কারণে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই বললেই চলে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রনি ইসলাম বলেন, বর্তমানে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এ কারণে আমদানীকৃত পেঁয়াজের খুব বেশি চাহিদা নেই। বাজারে যে পরিমাণ চাহিদা, তা দেশীয় পেঁয়াজ দিয়েই মিটছে। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বর্তমানে বেশি। এসব কারণে ব্যবসায়ীরা খুব বেশি পেঁয়াজ আমদানি করছেন না। কিছু ভালো মানের বড় আকারের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, যা চট্টগ্রাম অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হলে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা যেমন বাড়বে, তেমনি বন্দর দিয়ে আমদানিও বাড়বে। তখন ভারতের বাজারে দাম কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আমদানীকৃত পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকবে।
বিজয় রায় নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, বন্দর দিয়ে আগে প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। এখন চার-ছয় ট্রাক আমদানি হচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আমদানীকৃত পেঁয়াজের চাহিদা কম।
এআরএস