বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, সংকট মোকাবিলায় ইসলামি ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে তারল্য সহায়তা দেয়া হয়েছে তাতে কোন রিস্ক নেই। কারণ ইসলামি ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনা সাধারণ ব্যাংকিংয়ের তুলণায় অধিক নিরাপদ।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ইসলামি ব্যাংকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষ ব্যবস্থায় তারল্য সহায়তা দিয়েছে। এটি নিয়ে প্রশ্ন এসেছে। সাধারণত কোনো ব্যাংক সমস্যায় পড়লে বাংলাদেশ ব্যাংক সহায়তা করে। গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় এ সহায়তা দেয়া হয়।
তিনি উদহারণ দিয়ে বলেন, বর্তমানে ইসলামি ব্যাংকে সাধারণ মানুষের আমানত রয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকটিতে ১ কোটি ৯০ লাখ একাউন্ট রয়েছে। এখানে শেয়ার হোল্ডারের চেয়ে বেশি টাকা রয়েছে সাধারণ মানুষের। ব্যাংক সমস্যায় পড়লে এসব মানুষের ক্ষতি হবে। তাই সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের নিরাপ্তার কথা চিন্তা করেই এ সাপোর্ট দেয়া হয়েছে।
তবে ব্যাংকটিকে সহায়তা হিসেবে যে টাকা দেয়া হয়েছে, তাতে কোনো রিস্ক নেই। কারণ ইসলামি ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনা সাধারণ ব্যাংকিংয়ের তুলণায় অধিকদ নিরাপদ।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরাতো কাউকে রাতারাতি ধরে আনতে পারি না। ইতোমধ্যে দুইটি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি চার-পাঁচ মাসের মধ্যে ইসলামি ব্যাংকের সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
টিএইচ