সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বাজারে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। ব্রয়লার মুরগির দামে রেকর্ড ভেঙে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। এ নিয়ে এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা।
এছাড়া প্রতি ডজনে ডিমের দাম ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি হালি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহেও ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকা ছিল ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। কয়েকটি শীতের সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া প্রায় অপরিবর্তিত আছে অন্যসব পণ্যের দাম।
আকারভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫০ টাকায়। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি।
টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। শিম ৪৫৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০-৭৫ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা ও প্রতি কেজি আলু ২৭-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থানভেদে বিভিন্ন বাজারে বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৮০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০-৯০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কচুর লতি ৫৫-৭০, ধুন্দুল ৫৫-৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০-১২০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১২০ টাকা ও গাজর ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রায় অপরিবর্তিত আছে অন্যসব সবজির দাম। যদিও সবজির দাম ওঠা-নামার মধ্যেই থাকে।
এদিকে, পেঁয়াজ (নতুন) ৩৫-৪০ টাকা, রসুন ১২০-১৫০ টাকা, আদা (দেশি) ১০০-১৫০ টাকা ও খোলা চিনি ১১৫-১২০ টাকা। খোলা আটা ৬০ টাকা ও প্যাকেট আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকায়।
প্রতি ডজনে ডিমের দাম ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি হালি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহেও ১৩৫-১৪০ টাকা ছিল ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন। এছাড়া হাঁসের ডিম ২১০-২২০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৮৭ টাকা ও লবণ ৩৮-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মসলার বাজারে দাম অনেকটা গত সপ্তাহের বাজারের মতোই।
স্থানভেদে বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭২০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০০-৭২০ টাকা। এছাড়া স্থানভেদে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সোনালি মুরগি ৩১০-৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছেৎ। লেয়ার মুরগি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩০০ টাকায়।
এছাড়া স্থানভেদে রুই, কাতলা, মৃগেল কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৬০ টাকায়। পাঙাশের কেজি ১৫০-১৬০, তেলাপিয়া ২০০-২২০, গুড়া চিংড়ি ৪০০-৬০০ ও বড় চিংড়ি ৬০০-১০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এআরএস