রাজধানীর বাজারে আবারও বাড়ছে মুরগির দাম। সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরবরাহ সংকটের কারণেই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে মুরগির বাজার। কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। আজ ৯ মার্চ মঙ্গলবার সরেজমিন রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
ভোক্তাদের চরম বিপাকে ফেলে দাম বাড়ার নতুন রেকর্ড ব্রয়লার মুরগির। এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে প্রায় ১০০ টাকার মতো বেড়েছে। এদিকে দাম বেড়েছে সোনালি মুরগিরও; বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৬০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও যা পাওয়া যেত ২৬০ টাকায়। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা জানান, এর আগে কখনোই এতো দামে কেনাবেচা হয়নি ব্রয়লার মুরগি। একদিনে এর দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। বাজারে হঠাৎ এ দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তারা জানান, অনেকদিন লোকসান গুনে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে আবার বেড়ে গেছে মুরগির খাবারসহ উৎপাদন খরচ।
শাহজান কবর, কাওরানবাজার মুরগীর ব্যাবসা করেন প্রায় ৪০ বছর তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এত দাম দিয়ে মুরগি কেনা কষ্টকর। কি আর করবো আমরাও অসহায় বলছেন এই বিক্রেতা।
অন্যএক ব্যবসায়ী জানান কেন এত দাম আমরাও বুঝতে পারছি না, কোন একটি মহল সিন্ডিকেট করে রেখেছে কিনা তা খুজে দেখা উচিত। গত সপ্তাহে যেখানে ১০/১৫ টা গাড়ি লোড হতো সেখানে এই সপ্তাহে ৩/৪টাও দিতে পারি নাই। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ খুবই কম।
পরিবারের সদস্যদের জন্য ৩ কেজি ব্রয়লার মুরগী কিনতে এসেছিলেন গৃহিণী শায়লা জাহান, কিনতে এসেছিলা ৩ কেজি এতদাম যার কারনে দেড়কেজি মুরগী কিনে নিয়ে যাচ্ছি। আসলে আর কয়েকদিন পর বাচ্চাদের আমিষের চাহিদা পুরণ করতে পারবো কনা যানি না। সবকিছুর দাম বাড়ছে কিন্তু উপার্জন তো একই জায়গায় থেকে আছে।
এদিকে চাহিদামতো যোগান না পাওয়ার কথা জানালেন দাম বাড়তে থাকা ডিম বিক্রেতারাও। সপ্তাহ ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনপ্রতি বেড়েছে ৫ টাকা। বাজারে লাল ডিম ডজনপ্রতি ১৪৫টাকা ও সাদা ডিম ডজনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
দেশি হাসের ডিম ডজন ১৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
একই অবস্থা গরু ও খাসির মাংসের বাজারেও। বিক্রেতারা বলছে, বর্তমানে গরু দাম এত বেড়েছ্র যে আমাদের ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হয় কিন্তু আমরা বিক্রি করি ৭৫০টাকা। খাসির মাংস যা অবস্থা তাতে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি করতে হয় এক হাজার টাকা কিন্তু ছি ৯শ টাকা।
এই মাংস ব্যবসায়ী আরো জানায়,এই কাওরান বাজারে ১১ টি মাংসের দোকান ছিল সবাই লোকসানের কারণে বন্ধ করে দিয়েছে এখন মাত্র তিনটি দোকান আছে। এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন পর্যায়ে তদারকি করে বাজারে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস ওঠার যৌক্তিকতা নিরূপণের তাগিদ জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এছাড়াও বেড়েছে চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও সয়াবিনসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম।
এআরএস