চারিদিকে ভেজাল খাদ্যের ভিড়ে অসহনীয় হয়ে উঠেছে নগরজীবন। এর থেকে মুক্তি পেতে সবাই সন্ধান করছেন নিরাপদ খাদ্য। দেশের জনগণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটি (বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ)।
সম্প্রতি প্রেস ইন্সটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর সেমিনার কক্ষে CODEX Alimentarius and Food Safety এবং খাদ্য নিরাপত্তার ওপর মিডিয়া সংবেদনশীলতা শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় নিরাপদ খাদ্য ও দেশের বিভিন্ন ভোগ্য পণ্য বিদেশে রপ্তানির বিষয় নিয়ে মুক্ত আলোচনা করা হয়। খাদ্য নিরাপত্তায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং দেশে খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাদের সমন্বয় করে কাজ করার বিষয়ও উঠে আসে।
কর্মশালায় প্রেস ইন্সটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণে জনগণকে সচেতন করতে গণমাধ্যম কর্মীদের বেশি সচেতনতামূলক বার্তা প্রচারে গুরুত্ব দিতে হবে । খাবার গ্রহণ, সংরক্ষণ, পুষ্টিগুণ বজায় রেখে কিভাবে নিরাপদ থাকবে এসব সম্পর্কে জানাতে হবে।
কর্মশালায় জাফর ওয়াজেদ বলেন, খাদ্যের মান ও নিরাপত্তা নিয়ে যেসব কর্তৃপক্ষ কাজ করছে তাদের মধ্যেও সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি নিরাপদ খাবারের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা রয়েছে তাদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছে। আরও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে যার মাধ্যমে জনগণ সুস্বাস্থ্য নিয়ে, দেশে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ন্যাশনাল ফুড সেফটি স্পেশালিস্ট অধ্যাপক এম. বোরহানুদ্দীন। প্রবন্ধের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. মঞ্জুর মোরশেদ আহমেদ বলেন, সুস্থ সবল জাতি করতে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সংবিধানে রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের জন্য খাদ্যের মৌলিক চাহিদা পূরণ আবশ্যক। খাদ্য ক্রয়, রান্না, পরিবেশন ও সংরক্ষণের প্রতিটি ধাপে খাদ্য কিভাবে নিরাপদ রাখা যায় সকল বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
অধ্যাপক বোরহানুদ্দীন বলেন, কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিউস বা "খাদ্য কোড" আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত খাদ্য মানগুলির একটি নির্দেশনা। এই মানগুলো ভোক্তাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং খাদ্য বাণিজ্যে উপযুক্ত মান নিশ্চিত করে।
পিআইবি’র প্রশিক্ষক পারভীন সুলতানা রাব্বীর সমন্বয়ে কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৪০ জন সংবাদকর্মী অংশ নেয়।
আরএস