বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সম্প্রতি লক্ষ্য করেছি যে চিনির দাম একটু ঊর্ধ্বমুখী। আমরা বলেছিলাম দাম পাঁচ টাকা কমাবো। পরে হিসাব করে দেখা যায়, তিন টাকা ৫০ পয়সা কমানো যায়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন। আপনারা তো জানেন-ই, এই সময়ে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েই থাকেন।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৬ এপ্রিল চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেই ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১০৯ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। তবে বাজারের চিত্র ঠিক তার বিপরীত। সরকার কমানোর ঘোষণা দিলেও ব্যবসায়ীরা উল্টো বাড়িয়ে দিয়েছেন চিনির দাম।
মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ দিনে বিশ্ব বাজারে চিনির দাম আরও ১০০ ডলার বেড়ে গেছে। দাম বেড়ে যাওয়া সেই চিনি দেশে আসতে আরও এক মাস সময় লাগবে। তবে, আপনারা জানেন- ব্যবসায়ীরাতো সুযোগ নিয়েই থাকে। তারা আগে থেকেই সুযোগটা নেয়। ‘আমরা চেষ্টা করছি। এতো বিশাল মার্কেট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জায়গায় ছড়ায় ছিটিয়ে আছে। এটি আসলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। আমরা চেষ্টা করছি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য, যতো দূর পাড়া যায় আরকি।’
মুরগির বাজারের অস্থিরতার বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, বিষয়টি আমাদের দেখার বিষয় না। এটি প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। মুরগি নিয়ে যখন প্রশ্ন করেন, আমাকে উত্তর দিতে হলে জানতে হবে মুরগির উৎপাদন খরচ কতো। সেটা তো আমি জানি না। তবে মাঝে মাঝে আমি ধমক দেই। এটা ওটা করবো, যাতে দামটা মাত্রাতিরিক্ত না হয় সেই চেষ্টা করা।
তিনি বলেন, বাজারে মুরগির দাম কিছুটা কমার পরে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এতে মুরগির বাজার স্থিতিশীল করতে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়কে মুরগির দাম বেঁধে দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের ভোক্তা অধিকার একটি আদর্শ বা ন্যায়সঙ্গত দাম ধরে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। এর ফলে কখনো কখনো ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে আসছে।
এআরএস