এনসিসি একটি বিশ্বাসযোগ্য ব্রান্ড: এমডি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৩, ০৮:০৫ পিএম
এনসিসি একটি বিশ্বাসযোগ্য ব্রান্ড: এমডি

এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ বলেছেন, এনসিসি ব্যাংক গ্রাহকদের কাছে একটি গ্রহনযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য ব্রান্ড হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের শীর্ষ ব্যাংকগুলোর কাতারে পৌঁছুতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, তরুন প্রজন্মের গ্রাহক আকৃষ্টকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের প্রাপ্য অধিকার আনয়ন, এসএমই ও রিটেইল ব্যবসায় গুরুত্বারোপ, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের নতুন নতুন ফিচার সংযোজন এবং ইসলামী ব্যাংকিং সেবার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার ব্যাংকটির ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা  বলেন। 

ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিসি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফীন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাফাত উল্লা খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আশেক রহমান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জাকির আনামসহ ব্যাংকটির সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টীমের সদস্যরা। 

মামদুদুর রশীদ বলেন, ২০২২ সালে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক স্থবরিতা, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া এবং চলমান ডলার সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পেরেছি এবং প্রায় ৭১৫ কোটি টাকা অপারেটিং প্রফিট অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এ বছরও সকল বাধা অতিক্রম করে সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো। এতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এনসিসি ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতে সর্বজনবিদিত একটি নাম দাবি করে এমডি বলেন, আমরা এখন আস্থা ও বিশ্বস্ততার প্রতীক। দীর্ঘ পথ চলায় আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক প্রণীত বিধি ও নীতিমালার সঙ্গে সংগতি রেখে সতর্কতার সাথে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। 

তিনি বলেন, আমরা ইতমধ্যেই ব্যাংকিং সেবার দেশের প্রথম ইনোভেশন সেন্টার এর উদ্বোধন করেছি। একই সাথে ডিজিটাল অনবোর্ডিং সেবার অংশ হিসেবে "সঞ্চয়ী” সেবা আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মুক্ত করেছি, ডিজিটাল সেবা “সঞ্চয়ী” ব্যবহার করে গ্রাহকরা এখন ব্যাংকে না এসেও মুহূর্তের মধ্যেই চলতি বা সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে পারছেন। ব্যাংকিং সেক্টরে আমরাই প্রথম "নবীন" এর মতো উদ্ভাবণী স্টার্টআপ সেবা গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পেরেছি। আমরা কোর ব্যাংকিং সলিউশন (সিবিএস) এর উন্নতিসহ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রতি বেশি গুরুত্ব আরোপ করছি যাতে সামগ্রিক ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। এই প্রেক্ষাপটে এনসিসি ব্যাংক অটোমেটেড ব্যাংকিং ব্যবস্থা এর জন্য এ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক সেবার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছে। আমরা খুব শীঘ্রই ইনটারনেট ব্যাংকিং কার্যক্রম প্রসারিত করবো যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এবং আমাদের চলমান নেট ব্যাংকিং সেবাও গ্রাহকমহলে প্রশংসিত হয়েছে।

বিনিয়োগ কোম্পানি হিসাবে ১৯৮৫ সালের ২৫ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে এনসিসি। পরে ১৯৯৩ সালের ১৭ মে ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক নামে পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসাবে যাত্রা শুরু করে ব্যাংকটি। মাত্র ১৬ টি শাখা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এনসিসি ব্যাংকের দেশব্যাপী ১২৫টি পূর্ণাঙ্গ শাখা এবং ৬ টি উপ-শাখায় মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাহক সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। সারাদেশে বিস্তৃত শাখা ও উপ-শাখার পাশাপাশি ১৪২টি এটিএম ও ১০টি সিআরএম এর সমন্বয়ে সুসজ্জিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যাংকটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া বিশ্বখ্যাত ভিসা ব্র্যান্ড এর মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকদের চব্বিশ ঘন্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছে এনসিসি ব্যাংক। ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকদের জন্য নতুন নতুন ফিচার সংযোজন হয়েছে। ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকদের জন্য ইনস্টা ক্রেডিট, ইজিবাই এবং নো বার্ডেন আউটস্টেন্ডিং নামে নতুন তিনটি ইএমআই সুবিধা চালু ইতো মধ্যে চালু হয়েছে। ইনস্টা ক্রেডিট এর মাধ্যমে কার্ডহোল্ডারগণ তাদের অব্যবহৃত ক্রেডিট সীমার বিপরীতে ঋণ সুবিধা পাবেন। ইজিবাই এর মাধ্যমে কার্ডহোল্ডারগণ তাদের যেকোনো কেনাকাটা এবং নো বার্ডেন আউটস্টেন্ডিং এর মাধ্যমে তাদের মাসিক মোট বিলকে ইএমআই তে রূপান্তরিত করার সুবিধা পাবেন। এর বাইরেও কার্ড হোল্ডারদের রিওয়ার্ড প্রিভিলেজ পয়েন্ট, ইন্সুরেন্স সুবিধাসহ যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান “মেডিগাইড ইন্টারন্যাশনাল” এর মাধ্যমে বিশ্বসেরা মেডিকেল সেন্টারগুলোর কাছ থেকে "মেডিকেল সেকেন্ড ওপিনিয়ন সার্ভিস” সুবিধা চালু আছে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে এই সুবিধা চালু করেছে এনসিসি। 

এছাড়া “মাইক্রো এটিএম" নামে আরেকটি সেবার আওতায় গ্রাহকরা বিভিন্ন আউটলেটে পিওএস মেশিন থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন; যা শিগগিরই চালু হবে।

আরএস