সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার।
একাধিক কোম্পানির শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি লেনদেনে ভালো গতি রয়েছে। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ২ পয়েন্ট। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।
এরমধ্যে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে দুটি প্রতিষ্ঠান। আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি রয়েছে। আর লেনদেন হয়েছে ১২০ কোটি টাকার বেশি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে সবকটি মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম আধাঘণ্টাজুড়েই অব্যাহত রয়েছে। তবে দাম বাড়ার তালিকা থেকে কিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে এসেছে। এতে কমেছে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডিএসইতে ৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭১টির। আর ১১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে দশমিক ১২ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ২ পয়েন্ট। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩৬ কোটি ১১ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩টির, কমেছে ১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।
এইচআর