আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল মঙ্গলবার স্থিতিস্থাপক অর্থনৈতিক কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির আনুমানিক বৃদ্ধির কথা বলেছে তবে তারা সতর্ক করেছে যে- ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ মধ্যমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গিকে কমিয়ে দিচ্ছে।
আইএমএফ তার সর্বসাম্প্রতিক বিশ্ব অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বলেছে, মুদ্রাস্ফীতি কমছে এবং ব্যাংকিং খাতের তীব্র চাপ কমেছে, তবে বিশ্ব অর্থনীতির যেসব ঝুঁকির মুখোমুখি তা কমে আসছে; ঋণের অবস্থাও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
বৈশ্বিক এই ঋণদাতা বলেছে, তারা এখন অনুমান করেছে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক বাস্তব জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ হবে। এটি এপ্রিলের পূর্বাভাস থেকে দশমিক ২ শতাংশ বেশি। কিন্তু আইএমএফ ২০২৪ সালের জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গি অপরিবর্তিত রেখেছে, সেটিও ৩ শতাংশ।
ঐতিহাসিক মান অনুসারে ২০২৩-২০২৪ সালে বৃদ্ধির পূর্বাভাস দুর্বল রয়ে গেছে। ২০০০-২০১৯ সালে দেখা ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বার্ষিক গড় থেকে যা খুবই কম। মূলত উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোতে দুর্বল উৎপাদনের কারণে এমনটা হয়েছে। এটি বছরের পর বছর ধরে এই স্তরে থাকতে পারে।
আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে-অলিভিয়ের গৌরিঞ্চাস রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা ট্র্যাকে আছি, কিন্তু বিপদের বাইরে নই।
উল্লেখ্য, আপগ্রেডটি মূলত প্রথম ত্রৈমাসিকের ফলাফল দ্বারা চালিত হয়েছিল। আমরা যখন পাঁচ বছর পরের সময়ের দিকে তাকাই, তখন আমরা যা দেখছি তা আসলে ৩ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে, বা ৩ শতাংশের একটু বেশি। আমাদের প্রাক-কোভিডের তুলনায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য মন্দা।
তিনি বলেন, এটি বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে চীন, জার্মানি এবং জাপানের মতো দেশগুলোর জনসংখ্যার বার্ধক্যের সাথেও সম্পর্কিত। নতুন প্রযুক্তি আগামী বছরগুলোতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে, তবে এটি আবার শ্রমবাজারে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
এইচআর