মাত্র দুই সপ্তাহ পরই পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। আমার সংবাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। কথা বলেছেন, নিজস্ব প্রতিবেদক রেদওয়ানুল হক।
রাতারাতি দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে হেলাল উদ্দিন বলেন, চাহিদার সঙ্গে যোগানের হেরফের হলেই দাম বৃদ্ধি পায়। কোন ব্যবসায়ীর দাম বৃদ্ধি করার সুযোগ নেই, দাম বাড়ায় ক্রেতা। যারা বেশি করে কিনছে তাদেরও ধরা উচিৎ। টাকাওয়ালারা একসাথে বেশি কিনে বাজারে সংকট তৈরি করছে।
সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও কেন বেশি দামে বিক্রি করে অতিমুনাফা করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ব্যবসাতো আঞ্জুমানে মুফিদুল না, তাই অনেকেই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে। কারণ ব্যবসায়ীদের যখন লোকসান হয় তখন কেউ তার পাশে থাকে না, ব্যাংক টাকা মাফ করে না।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে প্রশাসনের ধরপাকরের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, জোর করে কোন কিছু পরিবর্তন করা যায় না। বাজারে হঠাৎ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে কেউ কেউ সুযোগ নিতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। পরিস্থিতি শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে। কারণ ১৫-২০ দিন পরই আমাদের দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তখন দাম ৪০ টাকা হবে।
ক্রেতাদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘সংকট উত্তরণে সবার সহায়তা প্রয়োজন হয়। যেহেতু পেঁয়াজ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয়, না খেলে কেউ মারা যাবে না; তাই ক্রেতাদের কম করে কিনতে হবে। তখন এমনিতেই বাজার ঠিক হয়ে যাবে।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয় না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনী ক্ষমতা না থাকায় অতিরিক্ত মুনাফা করলে দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই।
ভারতের তীব্র সমালোচনা করে হেলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের সরকার ভারতকে এত সুবিধা দিল তবুও তারা এমন নিষ্ঠুর আচরণ করছে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে হঠাৎ করে রপ্তানি বন্ধ করার সুযোগ নেই। তাদের সমস্যা হলে ধীরে ধীরে শুল্ক বাড়িয়ে বিষয়টি সমাধান করা যেত। তখন আমরাও বাজার সমন্বয় করার সময় পেতাম।
কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধান করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা শুধু দিয়েই যাব ভারত আমাদের কিছুই দেবে না এমনটা হওয়া উচিৎ নয়।
আরএস