- প্রকার ভেদে বেড়েছে ১০০-২০০ টাকা
- আজ অভিযান তো কাল বেশি
- নিয়মিত তদারকি চান ক্রেতারা
- খুচরা বাজারে অভিযান না করে পাইকারি বাজারে অভিযান পরিচালনার দাবি ব্যবসায়ীদের
ব্যাপক গুনাগুন সম্বৃদ্ধ খাবার হিসেবে খেজুর এখন জনপ্রিয় খাবার। অন্যদিকে ইসলাম ধর্মের সুন্নতি খাবার খেজুর। রমজানে খেজুর দিয়ে ইফতার করলে রয়েছে আলাদা ফজিলত। এছাড়া বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে খেজুরের চাহিদা রয়েছে। দেশে খেজুরের চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ মেট্রিক টন যা রমজানেই চাহিদা রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন। চাহিদার সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে খেজুরের দাম। গত রমজান থেকে এখন পর্যন্ত খেজুরের প্রকার ভেদে দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা।
খেজুরের দাম বাড়া নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ব্যপক অসন্তোষ দেখা দিলেও বিক্রেতারা বলছে পাইকারি বাজারে দাম বেশি রাখায় তাদেরকে দাম বেশি রাখতে হচ্ছে। অন্যদিকে পাইকারিরা বলছে আমদানি ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া ও এলসি জটিলতায় বেড়েছে খেজুরের দাম।
রমজানের আগে বাজারে তদারকির দাবি করে অহিদুল ইসলাম বলেন, রমজানের সময় সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় দাম বেড়ে যায় সেই সাথে খেজুরের দাম বেড়ে যায়। আর এর জন্য দায়ী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।
নারী চাকরিজীবী রহিমা কারওয়ান বাজারে ফুটপাতে বসা খেজুরের দাম শুনছিলেন প্রথম দুই দোকানে দামে না পড়লেও তৃতীয় দোকানে দামে কিছুটা কম পাওয়া এক কেজি আদম জাতের খেজুর কিনলেন ৫৮০ টাকায়। দামের প্রশ্ন করতেই তিনি বললে এই খেজুর তো ১০০ টাকা বেশি নিচ্ছে। রমজান আসেনি এখনি যদি এই দাম নেয় রমজানে তো ৭০০ টাকায়ও পাওয়া যাবে না। ক্ষোভ করে বলেন, রমজানের সময় অন্য দেশে খেজুরসহ নিত্য পণ্যের দাম কমে কিন্তু আমাদের এখানে বাড়ে।
কারওয়ান বাজারে প্রায় সব ধরনের খেজুরের দাম বেশি। তবে দাবস ও জাহিদি জাতের খেজুরের দাম তুলনামূলক বেশি। এই খেজুর কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের শুরুতে কেমন দাম হবে তা এখনি বলা যাচ্ছে বলে জানান কারওয়ান বাজারে খেজুর ব্যবসায়ী নুর ইসলাম। খুচরা বাজারে অভিযান না করে পাইকারি বাজারে অভিযান পরিচালনার দাবি করেন এই ব্যবসায়ী।
এমন অবস্থায় রমজানের আগেই বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আনতে সরাসরি তদারকি চান ক্রেতাদের।
আরএস