গতকালের পতনের ধারা থেকে বেড় হতে পারেনি দেশের শেয়ার বাজার। আজও সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ দিনেও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় বড় পতনের দিকে যাচ্ছে ব্রড ইনডেক্স।
দুপুর ২টা পর্যন্ত দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সব সূচকের পতন হয়েছে। যা ক্রমাগত ঋণাত্মক হচ্ছে। নাটকীয় পরিবর্তন না হলে দিন শেষে ভয়াবহ পতনের মুখে পড়তে যাচ্ছে শেয়ারবাজার।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৭০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৫ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১৩৫২ ও ২১১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দুপুর ২টা পর্যন্ত ৭২৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। আগের দিন পুরো সময়ে ডিএসইতে এক হাজার ১৭৩ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।
দুপুর পর্যন্ত ডিএসইতে ৩৮৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে৮৮টি কোম্পানির, কমেছে ২২৭টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।
দুপুর ২টায় অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছিল ১ হাজার ২৪৮ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৫২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৩টির, কমেছে ১৮৩টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এর আগে ফ্লোর প্রাইস (দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা) তুলে নেওয়ার পর গতকাল বুধবার পুঁজিবাজারে সূচকের পতন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমেছে।
ডিএসইতে ১১৭৩ কোটি এবং সিএসইতে ১৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বুধবার ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৪৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১৩৭২ ও ২১৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করেছে।
গতকাল ডিএসইতে এক হাজার ১৭৩ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৩ কোটি টাকার লেনদেন কমেছে।
বুধবার ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টি কোম্পানির, কমেছে ৩০৫টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।
গতকাল লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- সোনালি পেপার, ফুওয়াং ফুড, অরিয়ন ইনফিউশন, বিডি থাই, আইএফআইসি ব্যাংক, একমি লিমিটেড, ইস্টার্ন হাউজিং, সেন্ট্রাল ফার্মা, দেশবন্ধু পলিমার ও ফরচুন সু।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৩৪৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছিল ১৭ হাজার ৮১১ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ২০৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির কোম্পানির শেয়ার দর।
বুধবার সিএসইতে ১৩ কোটি ৩৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে লেনদেন প্রায় ১৬ কোটি টাকা কমেছে। তার আগের দিন ২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল।
এআরএস