বাণিজ্য মেলার সমাপনীর প্রস্তুতি, সময় বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
বাণিজ্য মেলার সমাপনীর প্রস্তুতি, সময় বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের
ছবি: আমার সংবাদ

গত ২১ জানুয়ারি শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। আগামীকাল মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে এবং পর্দা নামবে দেশের সবচেয়ে বড় আয়োজিত বাণিজ্য মেলার।

এদিকে ২৮তম আসরের সময় তিন দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এর আগে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের সামনে বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে তারা অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ করেছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাণিজ্য মেলা ২১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়াতে হবে।

বিক্ষোভকালে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ব্যবসায়ীরা এ বছর মেলা নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়ায় লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ১ জানুয়ারি শুরু করার পরিবর্তে ২১ জানুয়ারি মেলা উদ্বোধন করা হয়। আবার ২৬ জানুয়ারি সামরিক বাহিনীর ম্যারাথন থাকার কারণে ৩০০ ফুট রাস্তা বন্ধ রেখে অনুষ্ঠান করা হয়। এতে ওইদিন কোনো লোকসমাগম মেলায় হয়নি।

প্রতিবছর বাণিজ্য মেলা শেষে একুশে বইমেলা শুরু হয় কিন্তু এ বছর বইমেলা না পিছিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে, যার কারণে লোকসমাগম একেবারেই মেলাতে কম হচ্ছে। বিশ্ব ইজতেমার কারণে মেলায় জনগণ, পর্যটক আসতে পারেনি। এতে মেলার ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে অতিমাত্রায় শৈত্যপ্রবাহের কারণে মেলার নির্মাণকাজ সমাপ্ত করতে বিলম্ব হয়। আবার গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ায় লোকসমাগম কম হচ্ছে। অব্যবস্থাপনার কারণে মেলার বাইরে আরেকটি মেলা দৃশ্যমান হচ্ছে যার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আকর্ষণ কমছে।

এ পরিস্থিতিতে লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে মেলার সময় তিন দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীরা।

সোমবার বিকেলে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব বিবেক সরকার আমার সংবাদকে বলেন, এখন পর্যন্ত মেলার সময় বাড়ানোর কোনো নির্দেশনা আমার কাছে আসে নাই, সে হিসেবে নির্ধারিত সময়ে বাণিজ্য মেলা শেষ হবে। আমরা সমাপনীর প্রস্তুতি নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, গতবারের চেয়ে এবার রপ্তানি আদেশ বাড়ছে। গত বছর ছিল ৩০০ কোটি এবার তা প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মত হচ্ছে।

এবারের মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩০টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন থাকবে। এর মধ্যে ১৫-১৮টি বিদেশি স্টল রয়েছে।

বরাবরের মতো ভারত, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা এবারের মেলায় অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া স্থানীয় উদ্যোক্তারাও তাঁদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করেছেন।

প্রতি বছরের মত এবারের মেলাও সকাল ১০টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন দিনে সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলে। মেলায় প্রবেশ মূল্য বড়দের জন্য ৫০ এবং অপ্রাপ্ত  বয়স্কদের জন্য ৩০ টাকা নির্ধারিত করা ছিল।

এআরএস