সেন্ট্রাল এসিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
সেন্ট্রাল এসিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

প্রস্তাবিত বাজেটে সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিংয়ের উপর ৪৯ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে যা এ শিল্পের বিকাশের অনুকূল নয়; বরং এতে এই খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সার্বিকভাবে দেশে বিদ্যুতের অপচয় বাড়বে; ভোক্তার ওপর খরচের বোঝা তৈরি হবে। পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ীদের মারাত্মক বিপর্যয়ের কারণ হবে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ। নিরুৎসাহিত হবে বিনিয়োগ।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেছে বাংলাদেশ রিফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (ব্রামা)। পুরান পল্টনের ফার্স হোটেলে সংগঠনটির বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ব্রামা‍‍`র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং ভিআরভি/ভিআরএফ সিস্টেমে শুল্কায়নের জন্য এইচএস কোড (৮৪১৫.১০.১০) বদল করে এইচএস কোড ৮৪১৫.১০.২০ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিগত অর্থবছরে শুল্কায়নের পরিমাণ ছিলো ১১ শতাংশ, যা বর্তমান বাজেট প্রস্তাবনা অনুসারে আনুমানিক প্রায় ৬০ শতাংশ ধরা হয়েছে। অর্থাৎ পূর্বের চাইতে শুল্কের পরিমাণ প্রায় ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, এই শুল্ক বাস্তবায়ন হলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। পাশাপাশি সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। বেড়ে যাবে বিদ্যুতের খরচ। আগের ২১০০০০ বিটিইউ-১৭.৫ টন সিঙ্গেল ইউনিটের সেন্ট্রাল এসি আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, বাণিজ্যিক ভবনে এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য ডিজাইনের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল। এসব এসি জায়গার অপচয় রোধ করে এবং একইসঙ্গে ইনভার্টার টাইপ হওয়ায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। কিন্তু বর্তমানে ৩,১০,০০০০ বিটিইউ-২৫.৫ টন সিঙ্গেল ইউনিটের মেশিন আকারে বৃহৎ, অধিক বিদ্যুৎ খরচ এবং বাংলাদেশের ওইসব ভবনের ব্যবহারের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন সম্মত নয়। ফলে ক্রেতারা এসব ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবে।

মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, দেশের অনেক কোম্পানি এসব এসি আমদানি করার জন্য বিপুল পরিমাণ পুঁজি বিনিয়োগ করেছেন। এই শিল্পের সঙ্গে প্রায় এক লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। পাশাপাশি দেশে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানের ব্র্যান্ডের এসি প্রচলিত রয়েছে। যার অধিকাংশই আগের সিস্টেমের। এখন নতুন কোড চালু হলে এসব ব্র্যান্ডগুলোও নিরুৎসাহিত হবে। এসি সেক্টরের প্রসার মুখ থুবড়ে পড়বে এবং বিনিয়োগকারীরা দেউলিয়া হবেন।

তিনি আরও বলেন, বাজেটে ফ্রিজ ও এসির কম্প্রেসারের আমদানি শুল্কে রেয়াতি হার প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর ফলে এসি ও ফ্রিজের দাম বাড়বে। দেশে একটি মাত্র কোম্পানি কম্প্রেসার তৈরি করছে। ফলে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয় বিবেচনায় রেয়াতি শুল্ক আগের অবস্থায় রাখা উচিত।

প্রেসিডেন্ট বলেন, এসব বিষয় বিবেচনা করে এ সেক্টরে সকল ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে সংশোধিত বাজেটে সেন্ট্রাল এসির ক্ষেত্রে আগের এইচএস কোড সচল রাখা ও কম্প্রেসারের রেয়াতি সুবিধা বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রামা‍‍`র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আকরাম হোসেন, ব্রামা‍‍`র ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবুল হোসেন, ব্রামা‍‍`র এ্যডভাইজার এম এ সাঈদ বাবুল। -বাসস

আরএস