কমেছে বিদেশি ঋণের বোঝা

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৪, ১১:৩১ পিএম
কমেছে বিদেশি ঋণের বোঝা

দেশে বিদেশি ঋণের পরিমাণ কমেছে প্রায় ১৩৫ কোটি ডলার। চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে বিদেশি ঋণের স্থিতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার। যা আগের বছর (২০২৩ সাল) ডিসেম্বর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৬৪ কোটি ডলার। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়— মার্চে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেরই বিদেশি ঋণের পরিমাণ কমেছে। মার্চ মাস শেষে বাংলাদেশ সরকারের বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৯ বিলিয়ন বা ৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার, গত ডিসেম্বর মাস শেষে যা ছিল ৭৯ দশমিক ৬৯ বা সাত হাজার ৯৬৯ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গত তিন মাসে সরকারি খাতে বিদেশি ঋণ কমেছে ৬৮৯ মিলিয়ন বা ৬৮ দশমিক ৯০ কোটি ডলার।

এছাড়াও সরকারের পাশাপাশি অন্য সরকারি সংস্থাগুলোর ঋণের পরিমাণও কমেছে গত তিন মাসে। মার্চ শেষে সরকারের সরাসরি নেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ৮১ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৭৮১ কোটি ডলার, ডিসেম্বর মাস শেষে যা ছিল ৬৭ দশমিক ৯১ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৭৯১ কোটি ডলার। 

অপরদিকে চলতি বছরের মার্চ শেষে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর মাস শেষে যা ছিল ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। ফলে গত তিন মাসে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ কমেছে ৬৪৬ মিলিয়ন বা ৬৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। তারও আগে সেপ্টেম্বরে যা ছিল ২১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ও জুনে যা ছিল ২২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

প্রতিবেদনে অনুযায়ী— মার্চে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ০৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১০৪ কোটি ডলার। ডিসেম্বরে যা ছিল ১১ দশমিক ৭৯ ডলার। সে হিসেবে কমেছে ৭৫১ কোটি ডলার। এসব ঋণের মধ্যে বাণিজ্যিক ঋণের পরিমাণ ৭৪৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। বাণিজ্যিক ঋণের বেশিরভাগ বায়ার্স ক্রেডিট, যার পরিমাণ প্রায় ৫৬৯ কোটি ডলার। 

ইএইচ