জেনিথ ইসলামী লাইফের প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৩৮.৪৭%

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম
জেনিথ ইসলামী লাইফের প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৩৮.৪৭%

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আবেদন করা চতুর্থ প্রজন্মের বীমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফের প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে। একইসঙ্গে কোম্পানিটি বিনিয়োগ এবং দাবি পরিশোধের হারও বেড়েছে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধ তথা জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত। 

তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি সর্বমোট ১১ কোটি ৩২ লাখ টাকার প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। ২০২৩ সালের একইসময়ে কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা বা ৩৮.৪৭ শতাংশ বেড়েছে।

২০২৪ সালে বীমা কোম্পানিটির সংগৃহীত মোট প্রিমিয়ামের মধ্যে ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ ৪৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এ ছাড়াও নবায়ন সংগ্রহ ৩৭ শতাংশ বেড়ে ৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং গ্রুপ বীমার প্রিমিয়াম ৬ শতাংশ বেড়ে ৯০ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে। 

জেনিথ ইসলামী লাইফের বিনিয়োগও বেড়েছে ২৭.১৬ শতাংশ। ২০২৪ সালের প্রথম ৬ মাসে কোম্পানিটি ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা নতুন বিনিয়োগ করেছে। এর আগে ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির এই নতুন বিনিয়োগ ছিল ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০২৩ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ৭০ লাখ টাকা।

একইভাবে বীমা দাবি পরিশোধেও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখেছে জেনিথ ইসলামী লাইফ। ২০২৩ সালের প্রথম অর্ধবার্ষিকের চেয়ে ২০২৪ সালের প্রথম অর্ধবার্ষিক তথা জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি প্রায় ৬৫ লাখ টাকা বা ১৮.৮৮ শতাংশ বেশি বীমা দাবি পরিশোধ করেছে।

জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, প্রিমিয়াম সংগ্রহ, বিনিয়োগ ও দাবি পরিশোধসহ আমাদের সকল সূচকই প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের সকল সূচকের উর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ইতোমধ্যে আমরা সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরো বলেন, গ্রাহকদের আস্থা নিয়েই আমরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এইমধ্যে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র কাছে আমাদের ফাইল সাবমিট করা হয়েছে। কোম্পানির ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি থাকায় আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই আইপিও’র অনুমোদন পাবো।

আরএস