দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য

স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহার বৃদ্ধিতে সম্মত ঢাকা-বেইজিং

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ০১:২০ পিএম
স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহার বৃদ্ধিতে সম্মত ঢাকা-বেইজিং

বাংলাদেশ ও চীন আর্থিক নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রা নিষ্পত্তির বর্ধিত ব্যবহারকে উৎসাহিত করেছে।

বেইজিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩ দিনের সরকারি সফর শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে বুধবার দিবাগত রাতে দেশে ফিরেছেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনা ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশে শাখা স্থাপনের স্বাগত জানানো হয়।

বাংলাদেশ ও চীন আন্তর্জাতিক ও বহুপক্ষীয় বিষয়ে সমন্বয় জোরদার করতে সম্মত হয়েছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিন্ন স্বার্থ যৌথভাবে রক্ষায় আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন, মানবাধিকার, মানবিক বিষয়াদি, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি রূপান্তর ও পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কিত বহুপক্ষীয় প্রক্রিয়ায় অবস্থান আরও সমন্বয় ও বৃহত্তর ঐকমত্য গড়ে তুলতে উদ্যত অবস্থার বিষয় জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পেশ করা বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগের বিভিন্ন দিক নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত চীন।

সবার জন্য শান্তি, উন্নয়ন ও অভিন্ন সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ (জিএসআই) এবং গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ইনিশিয়েটিভ (জিসিআই) বাংলাদেশের পক্ষকে উপস্থাপন করেছে চীন।

চীন অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে এবং নির্ধারিত সময়ে ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণ এবং ‍‍`স্মার্ট বাংলাদেশ‍‍` রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতির প্রতি অব্যাহত সমর্থন ব্যক্ত করেছে।

উভয়পক্ষ ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রশংসা করে এবং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে সম্মত হয়।

উল্লেখ্য, এ সফরে দুই দেশের মধ্যে ২১টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন আরএমবি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে চীন।

বিআরইউ