‘দেশের ওষুধ ও পোশাকের বাজার দখলের ষড়যন্ত্র হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
‘দেশের ওষুধ ও পোশাকের বাজার দখলের ষড়যন্ত্র হচ্ছে’

শ্রমিক বিক্ষোভকে উসকে দিয়ে বাংলাদেশের ওষুধ ও পোশাকের বাজার দখলের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

চলমান শ্রমিক বিক্ষোভ নিয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে এসব কথা বলেন এই উপদেষ্টা। সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক করেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, আরএমজি এবং নন-আরএমজি উভয় ক্ষেত্রে কিছু শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। শ্রমিকদের কিছু দাবি আছে। গত ফ্যাসিবাদী সরকার একপেশে আচরণ করেছে। গত বছর আমরা দেখেছি মজুরি নির্ধারণ আন্দোলনে কীভাবে গুলি করে চারজন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। নিপীড়নমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে শ্রমিকদের নামে। এই সরকার শ্রমিকদের ন্যায্য এবং আইনসঙ্গত সব দাবি পূরণে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালে মজুরি আন্দোলনে শ্রমিকদের নিপীড়নমূলক এবং মিথ্যা যেসব মামলা দেওয়া হয়েছিল, সেসব মামলা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। সেই মামলাগুলো দ্রুত তুলে নেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বকেয়া বেতন নিয়ে যে শ্রমিক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে, আমরা ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি খুব দ্রুত যেন মালিকপক্ষ বকেয়া বেতন পরিশোধ করেন। তার জন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে গতকাল থেকে আমরা পালাক্রমে বৈঠক করছি। গতকাল দুইটা এবং আজ একটাসহ তাদের সঙ্গে তিনটি মিটিং হয়েছে। তারা সবাই ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, শ্রমিকদের কিছু দাবি-দাওয়া তো আছেই, এর পাশাপাশি বহিরাগত যাদের শ্রমিক ও শিল্পের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, এমন কিছু লোকজন দেখা যাচ্ছে, যারা হেলমেট ও হাফপ্যান্ট পরে বিভিন্ন কারখানায় ঢিল ছুড়ছে, হামলা করছে।

আসিফ বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে দুষ্কৃতকারী এবং বহিরাগতরা এসে দেশের শিল্প ধ্বংসের মতো পাঁয়তারা এবং ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। শ্রমিকদের যে ন্যায্য দাবি-দাওয়া আছে, সেগুলোর বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে। তাদের যেগুলো লং টার্ম দাবি-দাওয়া আছে, সেগুলো সমাধানের ব্যাপারে আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করে যাবো। কিন্তু যারা ষড়যন্ত্র করছে এবং দুষ্কৃতকারী যারা আছে, যাদের চিহ্নিত করা গেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

ইএইচ