হালাল পণ্যের বাজার প্রসারে ও হালাল ইকোসিস্টেম উন্নয়নে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া একসাথে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন, দুদেশের কর্মকর্তাগণ। হালাল সনদ প্রদানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করে দুটি দেশ।
রিভার্স লিংকেজ প্রজেক্টটি দেশকে আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে হালাল ইকোসিস্টেম উন্নয়নের ক্ষেত্রকে ত্বরান্বিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সমর্থ হবে বলে মতবিনিময় সভায় বক্তারা অভিমত দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হালাল সনদ বিভাগের সাথে সিরুনাই মালেশিয়া এবং ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক এর প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভার উদ্বোধন করেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. সাইফুল ইসলাম।
ডায়াগনস্টিক মিশন হালাল ইকোসিস্টেম উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে রিভার্স লিংকেজ প্রজেক্টের বিভিন্ন দিক নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।
বক্তারা বলেন, প্রকল্পটি বাংলাদেশের বর্তমান হালাল ইকোসিস্টেমকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ থেকে প্রাসঙ্গিক জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং দক্ষতা বিনিময়সহ দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অন্বেষণের মাধ্যমে সহযোগিতার সুযোগ চিহ্নিত করে হালাল বাজারকে প্রসারিত করবে।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হালাল সনদ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন— আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব এবং গ্লোবাল ইভেন্টের প্রকল্প পরিচালক ইন্তান সুরিয়া রামলি, সেরুনাই হালাল সেন্টার অফ এক্সিলেন্স এর প্রধান ওস্তাদ মোহাম্মদ জাবাল, সেরুনাই হালাল সেন্টার অফ এক্সিলেন্স এর ম্যানেজার এ এন নাবিল জারিনি প্রমুখ। এছাড়া সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ’সহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
বিআরইউ