ভারত থেকে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার জ্বালানি কিনছে সরকার

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
ভারত থেকে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার জ্বালানি কিনছে সরকার

জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের আশ্রয় প্রদান, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশে দেশটির সরকারের নির্বিকার থাকাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যাপক টানাপোড়েন চলছে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যকার সম্পর্কে। 

এর মধ্যে সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতার নির্মাণের চেষ্টা এবং তাতে বিজিবি ও স্থানীয়দের বাধায় নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বন্ধুপ্রতীম দুদেশের সম্পর্ক। অবশ্য এতসব উত্তেজনার মধ্যেও দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেগবান রাখার প্রয়াস জারি আছে। ফলস্বরূপ, ভারত থেকে ডিজেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, সম্প্রতি অনুমোদিত এক সিদ্ধান্তের আলোকে শিগগিরই ভারত থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সীমান্ত ইস্যুতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার ভেতরেই ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। গত রোববার (১২ জানুয়ারি) বিপিসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।

বিপিসির বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এই ডিজেল চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানি করা হবে এবং এর জন্য খরচ হবে ১ হাজার ১৩৭ কোটি বাংলাদেশি টাকা। এ বছর বিপিসির পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭৪ লাখ টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল, যার ৮০ শতাংশই সরাসরি আমদানি করা হয়ে থাকে।

আর বাকি অংশ স্থানীয় শোধনাগার থেকে পাওয়া যায়। মূলত, বিপিসি নিয়মিতভাবে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে রেলপথে বাংলাদেশে আসছে এই তেল।

এর আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

আরএস